আপনারা যারা সিলেটে অবস্থান করে একজন হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর ঠিকানা জানতে চাচ্ছেন যাকে আপনি নিঃসন্দেহে দেখাতে পারেন তারা একেবারে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি যতোটুকু জানি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যদি বন্ধ থাকে কয়েক মিনিট বা কয়েক সেকেন্ড তাহলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের অস্বাভাবিক কিছু হবে না।
কিন্তু হাট এমন একটি অঙ্গ যেই অঙ্গ যদি কয়েক সেকেন্ডের অধিক সময় বন্ধ থাকে তাহলে আমরা মৃত্যুবরণ করবো। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে এই হার্ট এবং আমরা এই হাটকে সবথেকে বেশি অবহেলা করি। যেই খাবারগুলো হার্টের জন্য ক্ষতিকারক আমরা সেই খাবারগুলোই বেশি খাই এবং সেটা শহরের মানুষের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি দেখা যায়।
স্বাভাবিকভাবেই সিলেট অত্যন্ত উন্নত মানের একটি শহর এবং এই শহরের মানুষদের উচিত এই ধরনের খাবার পরিহার করা। শুধুমাত্র যে নিজের কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে এমন নয় কাজের পাশাপাশি নিজের পরিবারকে সময় দিতে হবে এবং নিজেকে সময় দিতে হবে যার মাধ্যমে হার্টকে ভালো রাখা যায়। কিভাবে সব সময় হাসি খুশি থাকবেন সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যত বেশি হাসিখুশি থাকবেন আপনার হার্ট তত বেশি ভালো থাকবে।
সিলেটের হৃদ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
সম্প্রতি বিশ্বে এমন কিছু ঘটনা ঘটে গেছে যার মাধ্যমে আমরা অবগত হতে পেরেছি যে হৃদরোগ এমন এক ধরনের রোগ যেটাতে আপনি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও হতে পারে। তারপরও আপনাকে সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখতে হবে এবং নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন সিলেটে একেবারেই নতুন আমি তো সিলেটে রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না তাহলে ডাক্তারের চেম্বার কোথায় পাবো।
সবার প্রথমে অনুরোধ থাকবে আমাদের ওয়েবসাইট ভালোভাবে এক নজর দেখে আসে তাহলে বুঝতে পারবেন আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে তাদের আলাদা আলাদা তালিকা আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপলোড করি। ঠিক যেমন আজকের তালিকার মাধ্যমে সিলেটের সকল বড় বড় এবং বিশেষজ্ঞ হার্ট ডাক্তারের তথ্য জানতে পারবেন।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আমিনুর রহমান লস্কর
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। তবে স্যার বর্তমানে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক। স্যারের অর্জিত ডিগ্রী সমূহ হলো এমবিবিএস, ডি-কার্ড (ডিইউ)। রোগী দেখা চেম্বার হল সিলেটে আখালীয়ায় অবস্থিত মাউন্ট এডোরা হসপিটাল।
অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। তিনি এমবিবিএস এবং এমডি (কার্ডিওলজি) ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাছাড়া শাহাবুদ্দিন স্যার ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে পরিচিত। রোগী দেখার চেম্বারের ঠিকানা হলো মাউন্ট এডোরা হসপিটাল।
ডাঃ মোঃ আজিজুর রহমান রোমান
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হূদরোগ বিভাগের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। আজিজুর রহমান স্যার এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এবং এমডি (কার্ডিওলজি) ডিগ্রী সমূহ গ্রহণ করেছেন। তিনি সিলেটের রিকাবীবাজার এ অবস্থিত আইডিয়াল কম্পিউটারাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার চেম্বারে রোগী দেখে থাকেন।
শিশুর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সিলেট
অনেকেই জানেন না শিশুদের হৃদরোগ হয়ে থাকে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা হলেও অতীত কাল থেকে বর্তমানে এমন বহু নথি পাওয়া যায় যেখানে শিশুদের জন্মের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনতে পাওয়া গেছে।
আমি আমার এই জীবনে এমন অনেক বাচ্চার কথা শুনেছি যারা অল্প বয়সেই হার্টের নানান জটিল সমস্যায় ভুগছে এরপরে অনেকেই অনেক কষ্ট করে। অনেক বাচ্চা এমন আছে বেশি দিন এই কষ্ট নিয়ে জীবিত থাকতে পারে না অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা তার এর মাধ্যমে মৃত্যু লিখে রেখেছে।
ডাঃ মোহাম্মদ নূরুল আফসার (বদরুল)
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তাছাড়া স্যার সিলেটের হৃদরোগ, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত। নুরুল আবসার স্যারের দ্বারা এমবিবিএস (সিওমেক), এমডি (কার্ডিওলজি), ডি-কার্ড (ঢাকা), এফইএসসি (লন্ডন), এফএসিসি (আমেরিকা) এবং পিএইচডি (ডায়াবেটিস) ডিগ্রী সমূহ এবং যোগ্যতাসমূহ অর্জন করেছেন। মেডিকেল কলেজ রোডে অবস্থিত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার চেম্বার এ সপ্তাহের শুক্রবার ব্যতীত অন্যান্য 6 জন রোগী দেখেন।
ডাঃ মোঃ ফখরুল ইসলাম
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ বিভাগের একজন সহকারি অধ্যাপক। ফখরুল ইসলাম স্যার এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (কার্ডিওলজি) জগতে সমূহ অর্জন করেছেন। স্যার সিলেটের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার চেম্বার এ সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত অন্যান্য দিন রোগী দেখে থাকেন।
অস্বাভাবিক এবং কষ্টের ব্যাপার হল নিজের সন্তানকে আপনি তো আর ফেলে রাখতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তা যদি এই ধরনের অসুখ আপনার সন্তানকে দিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে সবার আগে ধৈর্য ধরতে হবে এবং সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে মনে মনে রাখতে হবে। আরেকটি কাজ করতে হবে সেটি হলো শিশুরই যোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আপনি যদি ডাক্তারের কাছে না যান বা রোগের জন্য সুস্থতা কামনা না করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সাহায্য করবে না।