প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করে

আমাদের আজকের এ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য নিয়ে। প্রেগনেন্সি টেস্ট করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে তবে এর মধ্যে সবথেকে ভালো এবং সহজ উপায়টি হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট বা কাঠি দিয়ে ঘরে বসে টেস্ট করে নেওয়া। সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড না হলে প্রথমে প্রেগনেন্সি কিটের সাহায্যে টেস্ট করা হয়ে থাকে। এই প্রেগনেন্সি কিট গুলো আমরা ফার্মেসিতে খুবই অল্প টাকার মধ্যে পেয়ে থাকে। এছাড়াও প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা প্রস্রাব পরীক্ষা ও আল্ট্রাস সাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবেন এছাড়াও এর পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের হৃদপিন্ডের কার্যক্রমও হয়তো শনাক্ত করা যেতে পারে।

এই আধুনিক যুগে এসে আমরা প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য অনেক রকমের উপায় পেয়ে থাকে। ঘরে বসেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও নানান রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেও আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে প্রেগন্যান্ট হয়েছে কিনা। তবে আমাদের মধ্যে অনেক নতুন মায়েরা রয়েছেন যারা প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য গুলো ভালোভাবে জানেন না। সেইসব মায়েদের জন্যই সাধারণত আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে সকল খুঁটিনাটি তথ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। তাই এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

প্রেগনেন্সি কিট ব্যবহারের নিয়ম

প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট এর ব্যবহার বিধি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। এর কারণ হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট অনেক ধরনের হয়ে থাকে এবং অনেক কোম্পানির হয়ে থাকে তাই এক একটি কিট একেক রকমের ব্যবহারের নিয়ম থাকতে পারে। এইজন্য প্রথমত আমাদেরকে যা করতে হবে বাজার থেকে একটি প্রেগনেন্সি কিট আনতে হবে এরপর সে কীটের প্যাকেটের ভেতরের নির্দেশিকায় কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে সেটি বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে সেটি অনুসরণ করে খুব সহজে ঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও যেসব প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট পাওয়া যায় সেগুলোর প্যাকেটের ভেতরে একটি লম্বা কাঠি বা বক্স থাকে তাতে একটি এস লেখা ঘর থাকে এ ঘরে আপনাকে কয়েক ফোটার প্রস্রাব দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে তারপর বক্সের সি ও টি লেখা অন্য দুটি ঘরের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এরপর শুধু সি ঘরে একটি দাগ দেখা গেলে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হবে অর্থাৎ আপনি হয়তো গর্ভবতী না। আর সি ও টি দুইটি ঘরের দাগ দেখা গেলে ফলাফল পজেটিভ হবে অর্থাৎ তখন আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে শুধুমাত্র সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই এই টেস্ট করতে হয়। আসলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি দিনের যেকোনো সময়ে এই পরীক্ষাটি করতে পারেন।

পরীক্ষার সত্য মিথ্যা

কিট এর মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে আসলেই কি এই কীটের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা হয়েছে। আসলে প্রায় ৯৯% ক্ষেত্রে এই কিট নির্ভুল তথ্য দেয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ফলস পজিটিভ হতে পারে মানে অন্তসত্ত্বা নয় তবুও পজিটিভ হতে পারে যেমন এইচসিজি হরমোন যুক্ত কোন ঔষধ সেবন করলে কোন কোন রোগে এই সিজি হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হলে গর্ভপাতের পর পর বা সন্তান জন্মের চার সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট করলে পজিটিভ হতে পারে।

এর কারণ হলো তখনও হরমোন থেকে যায়। কিটের মেয়াদোদের তারিখ পার হয়ে গেলে বাকিট ব্যবহার অযোগ্য হলে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে তাই অবশ্যই এসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তাই ইট দিয়ে রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তিনি কিছুদিন পর রক্তের কিছু সাধারন পরীক্ষা আর আল্ট্রা স্নেহগ্রাম করতে পরামর্শ দেবেন তখন সন্দেহ হলে ল্যাবরেটরি তে গিয়ে আবার প্রসাব পরীক্ষা করে নিতে পারেন।