হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার

রক্তের মূল উপাদান হচ্ছে হিমোগ্লোবিন সেই হিমোগ্লোবিনে যদি কোন ধরনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেটা আপনার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হবে। তবে এ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতার অনেক অভাব রয়েছে আমরা যতটা না সচেতন হয়ে তার থেকে বেশি চিন্তা করি। হিমোগ্লোবিনের জন্য সবার প্রথমে যে জিনিসটা আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের সমস্যার সমাধানের জন্য নিয়মিত চেকআপ করানো। একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে আপনি সেই কাজটি করতে পারেন এবং সেখানে যদি এটা প্রমাণিত হয় আপনার হিমোগ্লোবিনের সমস্যা আছে তাহলে অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

হিমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা কত হতে পারে পুরুষ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে সে সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব। আপনারা যদি এই সঠিক মাত্রা সম্পর্কে ধারণা পান তাহলে অবশ্যই সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে তাই চলুন আজকে আমরা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষের ক্ষেত্রে কত হতে পারে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কত হতে পারে সে সম্পর্কে জানি।

পুরুষের ক্ষেত্রে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি ডেসি লিটার রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা থাকতে হবে ১৪ থেকে ১৮ গ্রাম। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকা সব থেকে ভালো যদি এর থেকে কম হয় তাহলে সেটা এক ধরনের রক্তস্বল্পতা। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে হতে হবে স্বাভাবিক ১২ গ্রাম থেকে ১৬ গ্রাম এর মধ্যে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রক্তস্বল্পতার হার বেশি দেখা যায় তাই মহিলাদের অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে

সাধারণত যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনি আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের ধারণা দেবো। আমরা খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি এবং সুস্বাদু যে খাবার গুলো আছে সেগুলো অবশ্যই নিয়মিত আমরা খাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু আমরা যদি খাওয়ার সম্পর্কে সতর্ক থাকে তাহলে অবশ্যই সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি সুস্থ শরীরের অধিকারী আমরা হতে পারব।

সাধারণত সজনা পাতা এবং সবুজ শাকসবজি এই ধরনের খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক শাকসবজিতে আইরনের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি এগুলো আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যেমন মনে করুন ভালোবাসার থেকে শুরু করে সরষে বা ব্রকলির মত সবজি। এই উপাদানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে এবং ভিটামিন এ অথবা ভিটামিন সি আছে যা আমাদের শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে এবং রক্তের হিমোগ্লোবি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এছাড়াও খেজুর কিসমিস বা ডুমুর এই জাতীয় খাবার খাওয়াও প্রতিদিন পুস্তিকার প্রোটিন খাওয়া আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। সাধারণত যাদের বড় কোন সমস্যা নেই তারা স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে নিজের শরীরের হিমোগ্লোবিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন।

হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সাধারনত কি সমস্যা হয়

হিমোগ্লোবিন যদি কমে যায় সাধারণত সমস্যা থাকতে পারে সেটা হচ্ছে রক্তস্বল্পতা। রাজ্য সল্পতার কারণে যে রোগগুলো হয়ে থাকে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সাধারণত সেই সমস্যা গুলো দেখা যায়। হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে অনেকের ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটি সমস্যা যেমন থ্যালাসেমিয়ার মতন রোগের সম্ভাবনা থাকে। তবে সাধারণ পর্যায়ে রক্তস্বল্পতা হলে সেই ক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসা এবং খাওয়া-দাওয়ার উন্নতির ফলে হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

শারীরিকভাবে দুর্বল হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে যেটা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এভাবে নিয়মিত আপনি শরীরের যত নিতে পারলে অবশ্যই হিমোগ্লোবিন আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে যার ফলে আপনার শরীরের প্রত্যেকটি কার্যকলাপ ভালো হবে সংঘটিত হবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।