আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে এসেছি গর্ভবতী মায়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে। আর সে বিষয়টি হল গর্ভবতী মায়ের টিকা। আমরা সকলেই জানি একজন গর্ভবতী মায়ের টিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতিকার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এর টিকা তাই একজন গর্ভবতী মায়ের যদি আগে থেকে টিকা দেওয়া না থাকে তাহলে অবশ্যই গর্ব অবস্থায় থাকে সেই টিকা গুলো সম্পন্ন করা উচিত।
এতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ ও ভালো থাকবে। এছাড়াও আপনার সন্তানটি জন্মের কয়েক মাস পরেও তার টিকা শুরু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। একজন গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার গর্ভের সন্তানকে গুরুতরভাবে অসুস্থ থেকে রক্ষা করতে পারবে এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে।
তো চলুন আমরা গর্ভবতী মায়ের টিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
গর্ভবতী মায়ের টিকা কেন নেওয়া প্রয়োজন
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে একজন গর্ভবতীর মায়ের টিকা দেওয়া প্রয়োজন কেন। আসলে প্রত্যেকটা মায়েদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলেই জানি একজন মা যদি সুস্থ থাকেন তাহলে অবশ্যই তিনি তার গর্ভের সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম দিতে সক্ষম হন।
আর মা সুস্থ থাকার জন্য টিকা একটি প্রধান কারণ। মায়ের অসুস্থতার শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ কে বাধাগ্রস্ত করতে পারে তাই মা যাতে সুস্থ থাকেন সেই জন্য একজন গর্ভবতী মাকে টিকা দিতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের রুবেলার ইনফেকশন হলে সন্তান জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে এমনকি জন্মের পূর্বেও সন্তানের মৃত্যু হতে পারে।
রুবেলা আক্রান্ত মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর এই ত্রুটি স্থায়ী তো রূপ ধারণ করে তাই পরবর্তী সময়ে শিশুটির দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। কোন মাই হয়তো চাইবে না তার শিশুর এরকম অবস্থা হোক আর এই জন্যই গর্ভবতী মায়েদের কে টিকা দিতে হবে।
তবে যেসব মায়েরা গর্ভবতী হওয়ার আগেই টিটি টিকা নিয়েছেন তাদেরকে আর নতুন ভাবে গর্ভাবস্থার সময় টিকা দেওয়ার কোন প্রয়োজন পড়বে না। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোন গর্ভবতী মা যদি তার গর্ভাবস্থার আগে কোন ঠিকানা দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে গর্ভবতী অবস্থায় সে টিকাগুলো সম্পূর্ণ করতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের টিকা সমূহ
একজন গর্ভবতী মায়ের ৫ ধরনের টিকা রয়েছে সেটিকাগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
ফ্লু এর টিকা
গর্ভাবস্থার মধ্যবর্তী সময়ে ফ্লু তে আক্রান্ত হলে তীব্র উপসর্গ বা নিউমোনিয়ার মত জটিল অবস্থায় সৃষ্টি হতে পারে। স্লোতে আক্রান্ত হলে জ্বর মাথাব্যথা বেশির ব্যথা গলা ব্যথা ও কাশির মতো যন্ত্রণা দেয় উপসর্গ গুলো দেখা দেয়। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের ফ্লু একটিকার প্রয়োজন পড়ে।
টিটেনাস ,ডিপথেরিয়া, পারটুসিস টিকা
টিটেনাস বা ডিফথেরিয়া টিকা যেকোনো সময় নেওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় 27 থেকে 36 মাসের মধ্যে নেওয়াটাই উপযুক্ত সময়। এই টিকা টক্সএড ধরনের বলে গর্ভাবস্থায় নেওয়ার জন্যই নিরাপদ। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয় এবং পেশীতে বেদনাদায়ক খিচুনি হয়। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের এই টিকা নেওয়া প্রয়োজন।
হেপাটাইটিস বি টিকা
ccd এর মতে সকল গর্ভবতী নারী রয় হেপাটাইসিস বি শনাক্তকরণের পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ অনেক সময় এই রোগটি তার উপস্থিতির জানান দেয় না। গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি এর টিকা নেওয়া নিরাপদ। হেপাটাইসিস বি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এর ফলে যকৃতের প্রদাহ বমি বমি ভাব ক্লান্তি এবং জন্ডিস দেখা দিতে পারে তাই একজন গর্ভবতী মায়ের এই টিকা নেওয়া প্রয়োজন।
হেপাটাইটিস এ টিকা
হেপাটাইটিস এর টিকা গর্ভবতী মা কে যকৃতের এমন রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় যা সাধারণত ছড়ায় সংক্রমিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে। যার ক্লান্তি ও বমি বমি ভাব এর মত লক্ষণগুলো দেখা দেয় এই রোগে আক্রান্ত হলে।
নিউমো কঙ্কাল ভ্যাকসিন
আপনার যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন রোগ যেমন ডায়াবেটিস অথবা কিডনি রোগ থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনাকে নিয়ম কঙ্কাল ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেবেন গর্ভাবস্থায়।