হেপাটাইটিস বি কি ভালো হয়

অবশ্যই হেপাটাইটিস বি ভাল হয়। তবে এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন স্টেজে গিয়ে এটা ধরা পড়ছে এবং কিভাবে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভালোভাবে ভিজিট করেন তাহলে দেখবেন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া আছে যেখানে আপনি খুঁটিনাটি অনেক অধ্যায় পাবেন। তবে আজকে আপনাদের একটি মনের চিন্তা দূর করার জন্য আমরা একটি তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছে যেখানে সরাসরি আমরা আপনাদের জানাচ্ছি যে যদি অকুইট পর্যায়ে অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে হেপাটাইটিস বি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই লাগবে পার্সেন্ট এর উপর রোগ সুস্থ হয়।

বলছি কিসের মাধ্যমে রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা করা হয় এবং সেটার জন্য রোগীকে কি করতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে রাখা উচিত। রোগীদের অবশ্যই এই অবস্থাতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যে নিজের শরীরকে ভালো রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারো শরীরে কোন উপসর্গের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাবে সেই উপসর্গগুলো আজকে আমরা আপনাদের জানাবো।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এর লক্ষণ

বিভিন্ন রোগের বড় পরও কারণ থাকে এবং সেই কারণগুলো বুঝতে না পারলেও আমরা যেই লক্ষণগুলোর মাধ্যমে রোগগুলোকে চিহ্নিত করতে পারি সেগুলোই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনাকে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে কিন্তু আপনি যদি রোগে আক্রান্ত হন তাহলে সেই লক্ষণ গুলোই আপনার কাজে আসবে বেশি। সাধারণত হেপাটাইটিস রোগীর শরীরে চলে আসলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পেটে ব্যথা হওয়া। এর সঙ্গে আরও যে সমস্যা থাকতে পারে সেটা হচ্ছে গারো প্রস্রাব এবং অনেকের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর আসা।

খুবিদের ক্ষেত্রে সন্ধিতে যন্ত্রণা এবং ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হতে পারে হেপাটাইটিস বি এর কারণে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতন সমস্যা এর সঙ্গে দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারে। সঙ্গে যে সমস্যা দেখা দেয় সেটা হচ্ছে ত্বকের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি কোন ধরনের কারণ ছাড়া। তবে বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে এগুলো চলে গেলেও লিভারের বিভিন্ন সমস্যা থেকে যায় যার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায় সেটা হেপাটাইটিস বি।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এর চিকিৎসা

হেপাটাইটিস বিয়ের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে একটু আলোচনা করার চেষ্টা করছি। সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ঔষধ ব্যবহার করা হয়। হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ যোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য। রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে সাধারণত কোন ঔষধ কতটুকু দিতে হবে সেটা নির্ধারণ করেন চিকিৎসক। সাধারণত দুই ধরনের ঔষধের ব্যবহার করা হয় যেটাকে ইমিউন মডুলেটর ওষুধ এবং মৌখিক অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ হিসেবে ভাগ করা হয়েছে।

ইমিউন মডুলেটর এন্টার ফেরন নামক এই ওষুধ সাধারণত পেইন্টা ফেরন আলফা দুই এবং ইন্টারভিউ আলফা দুই বি এর অন্তর্ভ। এন্টিবডি গুলোর সিন্থেটিক সংস্করণ বা আমাদের দেহের রোগ সংক্রমণ বিরোধী লড়াই করতে পারে এই। ছয় থেকে বারো মাস পর্যন্ত করা যেতে পারে এই ওষুধের ব্যবহার।

মৌখিক এন্টিভাইরাল ওষুধের ক্ষেত্রে সাধারণত এই ওষুধগুলো শারীরিক মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার দিয়ে থাকেন। ওষুধের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে অবশ্যই রোগীকে সুস্থ করা যাবে।তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক সেই খাবারগুলোকে বর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একজন রোগী যতটা সহজ ভাবে এই কাজগুলো করতে পারবে এবং কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারবে তাহলে অবশ্যই সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবে তার নিজের জীবনে। হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করা সব থেকে ভালো হাতিয়ার তাই আমরা আমাদের সমাজে হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে সতর্কতা বৃদ্ধি করব এবং এটা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।