আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে এসেছি তার জন্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে আমাদের লেখাগুলো পড়তে হবে তাহলে আপনি জানতে পারবেন এই সকল বিষয়গুলো। আমরা আপনাদের আজকে কিটোটিফেন ওষুধ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাতে এসেছি। এই সকল তথ্যগুলো আপনাদের জানা খুব বেশি প্রয়োজন কারণ অনেক সময় আমরা নানা রকম ওষুধ সেবন করি সে সকল ওষুধ সম্পর্কে না জেনে সেজন্য আমাদের এই আয়োজনটি করা।
কিটোটিফেন ফিউমারেট হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের এইচ ওয়ান এন্টিহিস্টামিন ও মাস্ট কোষ স্টেবিলাইজার। এইটা সাধারণত দুইভাবে বাজারে বিদ্যমান পাওয়া যায়। যেমন একটি হলো চোখের ড্রপ যা এলার্জিক কোয়ান্টিভিটিস এর জন্য চিকিৎসা করা হয় এবং অন্যটি হলো ট্যাবলেট অ্যাজমা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। চোখের চিকিৎসার জন্য কিটো টিফেন খুবই কার্যকারী একটি ওষুধ। চোখের নানা রকম সমস্যার জন্য এই ওষুধটি ডাক্তার দিয়ে থাকেন এবং এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে চোখ খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায় মানুষের। এলার্জির মতো স্বাস্থ্য সমস্যা কেউ প্রতিরোধ করতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।
যারা অতিরিক্ত এলার্জি নিয়ে ভুগছেন এবং এলার্জির জন্য অস্বস্তির মধ্যে আছেন তাদের জন্য এই ওষুধটি খুব বেশি কার্যকারী কারণ নিয়মিত যদি এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় তাহলে এলার্জি একবারই নির্মূল করা সম্ভব হয়। অনেক সময় এলার্জির জন্য ডাক্তাররা এই সকল ওষুধগুলো সাজেস্ট করে থাকে যার ফলে রোগীরা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হতে পারে। চোখের ফর্ম হিসেবে কিটো টিফেন অনুযায়ী এলার্জি যেমন চোখের জ্বালা বা চুলকানিতে প্রতিরোধ করে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে ওষুধটি কাজ করে।
এই ওষুধটি তিন বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের এখনো ব্যবহার করা অনুমতি দেয়া হয়নি কারণ তিন বছরের কম বয়সে বাচ্চাদের ব্যবহারের ফলে তাদের চোখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যার ফলে চোখের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে সেজন্য শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের জন্যই এই কিটোটিফেন ওষুধের ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটির চোখের সমস্যার পাশাপাশি যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে এবং ঠান্ডা লাগার ফলে নানা রকম রোগ সৃষ্টি হয়ে যায় তারাও ব্যবহার করতে পারবে। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বড় বাচ্চারাও এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবে তবে তাদের নিয়ন্ত্রিত কিছু ডোজ রয়েছে তার বেশি যদি ব্যবহার করে তাহলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে সেই জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করলে ব্যবহার করতে হবে।
কিটোটিফেন ওষুধটি ব্যবহারের ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তবে এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ম না মেনে সেবন করার ফলে দেখা দেয় যেমন নাক থেকে রক্তপাত জ্বালা ওজন বৃদ্ধি শুষ্ক মুখ এবং মাথাব্যথা সহ নানারকম জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য যখনই এই সকল ওষুধ সেবন করবেন তখন ফুল ডোজ এবং নিয়ম করে ওষুধটি সেবন করবেন তাহলে আর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। কিটোটিফেন ব্যবহারের ফলে আরও বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো হল আলোতে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি ব্রণের মতো ফুসকুড়ি এলার্জি প্রতিক্রিয়া চুলকানি ঝাপসা দৃষ্টি মাথাব্যথা চোখের মধ্যে টিংলিং সংবেদন চোখের জ্বালা অনুভূতি শুষ্ক চোখ চোখে ব্যথা চোখের পাতার ব্যাধি চোখে জল পড়া বেড়ে যাওয়া সর্দিযুক্ত না গলা ব্যথা। যখন আপনি এই ওষুধটি সেবন করবেন তখন যদি এই সকল রোগগুলো সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝে নেবেন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে আপনার এই সকল সমস্যাগুলো হচ্ছে।
ঠিক তখনই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে যখন এ সকল সমস্যাগুলো দেখা দেবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনি আর এই সকল ওষুধ সেবন করবেন না। প্রতিটা লোকের জন্যই প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ এবং ডাক্তার এর সাজেস্ট করা ওষুধ সেবন করা তাহলে আর কোনরকম সমস্যা হয় না।আপনারা যখন এই সকল বিষয়গুলো ভালোমতো বুঝতে পারবেন তখন নানা রকম ক্ষতির থেকে রক্ষা পাবেন এবং আমরা খুব ভালোমতো ওষুধের ওপর থেকে এই সকল বিষয়গুলো জানার পরে আপনাদের জানিয়েছি। তাই আপনারা এ সকল তথ্যগুলো গ্রহণ করতে পারেন।