একজন মা যখন গর্ভাবস্থার ২৮ তম সপ্তাহে অথবা সাত মাসে পা রাখে তখন প্রতিদিনের সাথে আরো বেশি বেশি করে অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করে। এর পাশাপাশি আরও একটি ভালো দিক রয়েছে আর সেটি হল একজন মা যখন সাত মাসে পা রাখেন তখন তার গর্ভের সন্তানের নড়াচাড়া সে অনেক ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন। আর এটা হল একজন মায়ের ক্ষেত্রে অনেক ভালোলাগার একটি মুহূর্ত।
এছাড়াও এ সময় আরো অন্যরকম একটা বিশেষ অনুভূতি হবে যেহেতু এই সময় আপনার নিকটানেরা আপনার প্রচুর খেয়াল রাখবেন এবং আপনাকে যত্ন আর্দ্র করে থাকবেন। এটি হল গর্ভস্থ শিশুকে ঘিরে তাকে আশীর্বাদ প্রদান স্বরূপ এবং আনন্দে ভরে ওঠা নানান রকমের বিশেষ অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে। তাই এই গর্ভাবস্থার সাত মাসে এসে একজন মায়ের কষ্টের পাশাপাশি অনেক স্মৃতি মধুর আনন্দের মুহূর্তও থাকে।
যাইহোক আমরা আজকে নিয়ে এসেছি শুধু মাত্র আপনাদের জন্য আমাদের আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব সাত মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো। আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন। আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পরলে আপনারা একজন গর্ভবতী মায়ের সাত মাসে এসে সবকিছু সম্পর্কে জেনে যাবেন।
গর্ভধারণের সাত মাসের সাধারণত লক্ষণ গুলি
গর্ভধারণের সাত মাসে এসে একজন মায়ের হাঁটতে অনেক কষ্ট হবে কারণ প্রচুর পরিমাণ চাপ সে মায়ের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং মূত্রথলির উপর পড়বে। একজন মায়ের মনঃসংযোগ পুরোপুরি থাকবে তার ওজনের বৃদ্ধির উপর যেহেতু এটা মায়ের পিঠের ব্যথার একটা মুখ্য কারণ হতে পারে। তাই এ সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের পিঠার ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
এসময় মায়েদের বিশেষভাবে মুখ সুইং হতে পারে। হঠাৎ করে একজন মা কান্না হাসির জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে যেহেতু এই সময় মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন হয় একই সময়ে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই এই ঘটনাটি সকল গর্ভবতী মায়ের সাথে ঘটে থাকে সাত মাসের সময়।
সঠিক অর্থে এ সময় থেকে একজন গর্ভবতী মায়ের ন্যায় আপনি হাঁটতে শুরু করবেন এবং আপনি পা ফেলার সময় দুটি পায়ের পাতাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব বেড়ে যাবে আপনার বর্ধিত পেটের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য।
তলপেটে অস্বস্তি অনুভব হবে এ সময়ে একটু বেশি। প্রায় সব সময়ই সংকোচন আপনার দৈনিক রুটিন হয় যাবে এ সময় আপনি অনেক বেশি স্থায়িত্ব অনুভব করবেন।
সপ্তম মাসে একজন গর্ভবতী মায়ের দেহে যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
সপ্তক মাসে এসে একজন গর্ভবতী মায়ের পেটে গোলাকার হয়ে যাওয়ার জন্য মা তখন ঝুকতে পারবেন না। এছাড়াও মা তখন অনুভব করবেন যেন গোলাকার এবং ইস্পিথ হয়ে গেছেন এটা হয় মায়ের দেহের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়ার জন্য। এছাড়াও এ সময়ে এসে একজন গর্ভবতী মায়ের মুখ হাত এবং পা ফুলে যাবে।
গর্ভাবস্থার সাত মাসে এসে মায়ের সব আবহাওয়াতে অত্যাধিক গরম লাগবে। যেহেতু গর্ভস্থ শিশুটি তার বৃদ্ধির ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে তাই মায়ের ঘন ঘন মূত্রত্যাগ হবে। এরকম আরো অনেক রকমের পরিবর্তন সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের ঘটে থাকে।
সাত মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
সাত মাসের গর্ভাবস্থার সময় একজন মা তার গর্ভের শিশুর নাড়াচাড়া খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন। এ সময় থেকে বাচ্চার নড়াচড়ার দিকে মায়ের খেয়াল রাখতে হবে এবং গুনে রাখতে হবে। প্রতি ১২ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পেটে একটি সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা দশবার নড়াচড়া করে থাকে।
পেটে বাচ্চা হয়ত সকালে নড়েছে দুপুরে কিছু সময়ের জন্য বাচ্চা নড়াচাড়া করেনি, তখনই অন্তঃসত্তা ফোন করে অস্থির করে ফেলেন যে পেটে বাচ্চা নাড়াচাড়া করছে না। তবে এতে অস্থির হওয়ার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ পেটের বাচ্চাও জেগে থাকার পাশাপাশি ঘুমিয়েও থাকে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা যদি দশবার নড়াচাড়া করে তাহলে বুঝে নিবেন সে বাচ্চাটি অনেক সুস্থ আছে।