ছয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া

আপনি কি ছয় মাসের গর্ভবতী? নিশ্চয়ই অনেক খুশিতে আছেন কারণ আর মাত্র কয় মাসের ব্যবধানে আপনার সেই ছোট্ট বাবুটি আপনার হাতের নাগালে চলে আসবে। আপনি তখন চাইলেই আপনার বাবুটিকে হাত দিয়ে ছুঁতে পারবেন। কাছে টেনে নিয়ে বুকে ধরে আদর করতে পারবেন প্রাণভরে।

আরো কত কিছুই না করবেন বলে ভাবছেন তাই না? আসলে সত্যিই তাই মা হওয়ার অনুভূতিটা যে কতটা সুন্দর তা একজন মা জানে । আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নিয়ে এসেছি আমাদের নতুন একটি আর্টিকেল আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব ছয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।

গর্ভাবস্থার ছয় মাস মানে আপনি আপনার তৃতীয় মাসিকে প্রবেশ করতে চলেছেন তাই সকালের অসুস্থতার মতো গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি এসময়ে কমে যাবে এবং এর পরিবর্তে আপনি বিভিন্ন উপসর্গ গুলির সমর্থন হতে শুরু করবেন। সেই উপসর্গগুলি এবং যাবতীয় সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি আপনি যদি এসব বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ছয় মাসের গর্ভাবস্থার সাধারণত লক্ষণ

কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম

আপনি যদি আপনার গর্ভাবস্থার ছয় মাসে পা দিয়ে থাকেন তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলের এই অংশগুলো আপনার জন্যই। এ পর্যায়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর উপসর্গ গুলোর মধ্যে একটি হলো কুষ্ঠ কাঠিন্য এবং বদহজম। বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েরায় এ সময়ে বুক জালার সাথে কুষতো কাঠের অভিজ্ঞতা পায়। এ সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে এই একই জিনিসের কারণ গুলো ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে হরমোন গুলির পরিবর্তনের কারণে কুষ্ঠ কাঠিন্যের অভিজ্ঞতা সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের হয়ে থাকে। যা অন্তরের চারপাশে দেশ বেশিগুলির নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে ফলে হজম ক্ষমতাকে কমিয়ে আনে। তবে এটি হলো একজন ছয় মাসের গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে সাধারণ একটি উপসর্গ। তাই এটি নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনাকে সময় মতো ব্যায়াম করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি ও রস জাতীয় তরল খাবার গুলো খেতে হবে। এতে করে আপনি অনেকটাই উপকৃত হতে পারেন।

অ্য্যাডেমা

আপনি যদি গর্ভাবস্থার ছয় মাসে পা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাডেমের সমস্যা হতে পারে। এ সময়ে আপনি আপনার পায়ের পাতা গোড়ালি এবং কখনো কখনো হাতে ফোলা ভাবের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। আপনার শরীরটি শিশুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাই এটি আপনাকে ও আপনার শিশুকে পুষ্ট করার জন্য টিস্যুতে তরল বজায় রাখে এটি ফোলা ভাব সৃষ্টি করে থাকে।

এছাড়াও খেয়াল করে দেখবেন চোখ এবং গালের চারপাশে কিছুটা ফুলে ওঠে এটাও একটি স্বাভাবিক উপসর্গর মধ্যে একটি। তাই এ স্বাভাবিক কারণগুলো নিয়ে বেশি চিন্তিত না হয়ে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লেই আপনি এর সমাধান পেয়ে যাবেন।

ক্ষুধার প্রবল ইচ্ছা এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া

একজন ছয় মাসের গর্ভবতী মায়ের এ সময়টিতে ক্ষুধার প্রবল ইচ্ছা জেগে থাকে এবং একটু পর পর ক্ষুধা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে। এ পর্যায়ে একজন গর্ভবতী মা শুধু নিজের জন্য খাবেন না পাশাপাশি আপনার বাচ্চার জন্য খাবেন।

এখন শিশুটি তার অঙ্গ গুলি বিকাশ করছে এবং পরিপক্ক হয়ে উঠছে তাই আপনার শরীরকে পুষ্টি ও ভিটামিন সরবরাহ করতে হবে। এই মুহূর্তে আপনি হঠাৎ কোনো কিছু খাবারের প্রতি প্রবল ক্ষুধা ও প্রায় ক্ষুধার্ত বোধ করে থাকবেন তাই নিজেকে দোষী না ভেবে আপনার অনুরোধ পূরণ করা ভালো তবে একই সাথে অভিজ্ঞতার সাথে খান।

সুস্বাদু খাবারের বিকল্প গুলি পছন্দ করুন যেমন ফল সালাদ জ্যাঙ্ক খাবারের বদলে সমগ্র সর্ষের খাবারগুলো। প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পানিও ফলমূল পান করুন এবং প্রতিদিন তিনবার প্রচুর পরিমাণে খাবারের চেয়ে ৬ থেকে ৭ বার অল্প করে খাওয়া অনেক ভালো।