গর্ভবতী মহিলাদের আমল

একজন মা যখন জানতে পারেন সে গর্ভবতী তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না। প্রতিটা মেয়ে চাই মা হতে। একজন মেয়ে যখন মা হয় তখন তার জীবনের সমস্ত চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে গর্ভধারণ এবং উচ্চ সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে একজন নারী শরীয়ার এমন একটি লক্ষ্য পূরণ করেন যা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয়।

তাই একটি মা যখন একটি সন্তান জন্ম দিতে পারে তখন তার গর্ভবত হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্য হচ্ছে মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যারা আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দিবে ও নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করবে।

মায়ের কোন তুলনা হয় না। আমরা সন্তানেরা হয়তো কোনদিন মায়ের ঋণ শোধ করতে পারব না। মা এমন একটা জিনিস যা সারা পৃথিবীতে খুঁজলেও দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। মাত্র একজনই। যে মা সন্তানদের জন্য তার জীবনের মায়াও ত্যাগ করতে পারে সে মায়ের তুলনা কিভাবে আমরা দিব। মায়ের কথা বলতে গেলে হয়তো কোনদিনও শেষ করা যাবেনা।

যাইহোক আজকে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী মহিলাদের আমল সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের আমল সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে আলোচনা করতে এসেছি।

একজন মা যখন গর্ভধারণ করে তখন সে মায়ের বিভিন্ন রকমের আমল করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন না যে গর্ভবতী মায়েদের কি কি আমল করা প্রয়োজন।

আর যারা এ বিষয়ে জানেন না তাদের জন্যই আমাদের আজকেরে আর্টিকেলটি হতে পারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে একজন মা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন তার গর্ভাবস্থার এর সময়ে কি কি আমল করলে তার সন্তান একজন নেককার হতে পারে।

প্রত্যেকটি মা চাই যে তার সন্তান সুস্থ স্বাভাবিকভাবে এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করুক। আর একজন মুসলিম মায়ের চাওয়া পাওয়া হল তার সন্তান সুস্থ সুন্দর হোক এবং ঈমানদার হোক নেককার হোক।

তবে সন্তানকে যদি নেককার ঈমানদার বানাতে চান তাহলে অবশ্যই গর্ভবতী অবস্থায় আপনাকে বিশেষ কিছু আমল করতে হবে যে আমলের ওসিলায় আল্লাহ তাআলা আপনার সন্তানকে নেককার বানিয়ে দিবেন। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই।

গর্ভবতী মহিলাদের আমল

যদি কোন নারীর জন্য তার গর্ভাবস্থা কঠিন হয় এবং তিনি তা ধৈর্যের সাথে সহ্য করে তাহলে গর্ভাবস্থার মাধ্যমে বিশেষ কিছু লক্ষ্য পূরণ হওয়ার কারণে এর মাধ্যমে মা নানাভাবে উপকৃত হতে পারেন।

একজন গর্ভবতী মা যেসব আমল করতে পারবে তার মাঝে আছে সে সকল আমল একজন মুসলিম প্রতিদিন করে থাকে যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা, সিয়াম পালন করা, সাদাকা দেয়া, নিয়মিত কোরআন শরীফ পাঠ করা, দৈনন্দিন জিকির করা, মানুষের সাথে সদয় আচরণ করা, আত্মীয়দের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, নিজের হিসাব নেয়া, উত্তম আচরণ করা, কথা ও কাজ অর্জনে সচেষ্ট থাকা এগুলো প্রত্যেকটি হল একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিশেষ আমল।

সম্ভবত এই সময় একজন গর্ভবতী মা যেসব বিষয়ে ফোকাস করতে পারেন তার মাঝে একটা হচ্ছে সন্তান প্রতিফলনের সঠিক পদ্ধতি নিয়ে পড়াশোনা করা। মা এই বিষয়ের উপর বই পড়তে পারেন বা আলেমদের দেয়া উপকারী লেকচার গুলো শুনতে পারেন।

কারণ এ সময়ে মা যা যা করবেন তার গর্ভের সন্তানের প্রতি সেগুলোই প্রভাব পড়বে। একটি গর্ভের সন্তান তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন তার মা যা করবে তার সত্তর পার্সেন্ট শেষ সন্তান শিল্পী আর বাকি ৩০ শতাংশ বাচ্চা জন্মের পর তার পরিবেশের নিয়ম কানুন অনুযায়ী শিখবে।

তাই একজন গর্ভবতী মা তার গর্ভাবস্থায় যদি বেশি বেশি আমল করেন আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করেন সব সময় জিকির করেন তাহলে নিঃসন্দেহে সে একজন নেককার সন্তান জন্ম দিতে পারেন।।