গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

আপনি কি একজন গর্ভবতী মা? গর্ভকালীন সময়ে যে গর্ভবতী কার্ড করা যায় আপনি কি সেই কাজ করতে চাচ্ছেন? তবে কিভাবে গর্ভবতী কাজ করা যায় সেটি আপনি জানেন না? সত্যি যদি এই চিন্তা ভাবনাগুলো নিয়ে আপনি ঘুরেন তাহলে আমি বলব আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আলোচনা করতে এসেছি গর্ভবতী কাট করার সকল নিয়ম সম্পর্কে।

আশা করি আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝে নিতে পারবেন গর্ভবতী কার্ড কিভাবে করতে হয় গর্ভবতী কাজ করার নিয়ম এছাড়াও আরো বিস্তারিত সকল তথ্য গুলো সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গর্ভবতী কাজ করতে হয় এবং গর্ভবতী কার্ড করতে গেলে ঠিক কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

গর্ভবতী কার্ড করতে কিছু শর্তাবলী

আপনি যদি গর্ভবতী কার্ড করতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু শর্তাবলী রয়েছে যেগুলো আপনাকে মানতে হবে। চলুন আমরা সেই শর্তাবলী গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

গর্ভবতী কার্ড করার জন্য গর্ভবতী মা মায়ের বয়স অবশ্যই ২০ বছর থেকে 35 বছরের মধ্যে হতে হবে। এরপর প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা হতে হবে সেই গর্ভবতী মায়ের। ভাতা ভোগীকে ৪ থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী থাকতে হবে এ কার্ড করার সময়।এপ্লিকেশন পত্রের সহিত ছবি তিন কপি নাগরিকত্বের সনদ ও ন্যাশনাল পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অথবা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা করতে গর্ভবতী প্রস্তুতি প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

গর্ভবতী ভাতার টাকার পরিমান

আমাদের অনেকের মাঝে এই প্রশ্নটি জেগে ওঠে যে গর্ভবতী ভাতার টাকার পরিমান কতটুকু। আসলে বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসে মাসে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ৮০০ টাকা হারে প্রতি 6 মাস অন্তর অন্তর করে চারবার বা 24 মাস এই ভাতা প্রদান করে থাকে।

অফলাইন এপ্লিকেশন এবং আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজ পত্রাদি অনুসারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ হতে আবেদনকারীদের তথ্য ও আবেদন সংগ্রহ করে এবং এর নিকট হতে স্বাক্ষর ওশিল গ্রহণ করেন এবং উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব কাগজপত্র দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি এই অ্যাপ্লিকেশন মঞ্জুর প্রদান করে থাকেন।

গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

গর্ভবতী কাঠ করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এখন আলোচনা করব। বর্তমান যুগে অনলাইনের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের আবেদনগুলো করতে পারি ঠিক সেরকমই গর্ভবতী কার্ডও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারব। আর এর জন্য আমাদের দেওয়ার লিংকে আপনারা প্রবেশ করুন।

লিঙ্কে যাওয়ার পর আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন আপনার কাছ থেকে নিচের তথ্যগুলো চাইবে এখন আপনি নিচের তথ্যগুলো পূরণ করবেন। তথ্যগুলো হল

ব্যক্তিগত তথ্য, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, আর্থসামাজিক তথ্য, পেমেন্টের তথ্য, ছবি এবং স্বাক্ষর, সংযুক্তি।

উপরিক্ত তথ্য দেওয়া হলো আপনি এখন সংরক্ষণ করুন ওখানে ক্লিক করবেন। অবশ্যই তথ্যগুলো সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ তথ্যগুলো ভুল হলে আপনার কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ভুল তথ্যের কারণে আপনি গর্ভবতী কার্ড থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সবকিছু ঠিক ঠাক হয়ে গেলে আপনার আবেদনটি হয়ে যাবে।

অর্থের অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাঘাত না হয় সেজন্য সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা দেওয়ার প্রচলন চালু করেছেন। এটি একটি অনেক ভালো উদ্যোগ। এই গর্ভবতী কার্ডের কারণে অনেক মা হতাশা থেকে বেঁচে যান।

এছাড়া অনেক শিশু ভালোভাবে জন্ম নিতে পারেন কোন কিছুর অভাব ছাড়াই। এটা সবথেকে দারিদ্র মায়েদের জন্য বেশ উপকারী। তাই আপনারা যারা দারিদ্র গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন তারা অবশ্যই সময় এবং সুযোগ দেখে শুনে গর্ভবতী কার্ড করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা আপনি এবং আপনার শিশু দুজনের জন্যই মঙ্গলজনক।