আজকের আমরা মায়েদের জন্য এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করব আমাদের এই প্রতিবেদনে যেটা হয়তো অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। সন্তান প্রসব হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে বুকের দুধ পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার। কিন্তু সে জরুরি ব্যাপারকে অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মে হতে দেখা যায় না। আমরা সকলে অবগত আছি যে ছয় মাস পর্যন্ত একজন শিশুর শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাটাই যথেষ্ট। তাহলে অবশ্যই আমাদের ভাবতে হবে যদি যথেষ্ট পরিমাণে বুকের দুধ সে সন্তান না পায় তাহলে তার বেড়ে ওঠা তার মানসিক বেড়ে ওঠা এবং শরীরের প্রত্যেকটি গঠন কতটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
তাই মায়ের প্রধান লক্ষ্য থাকে তার সন্তানকে বুকের দুধে পর্যাপ্ত সরবরাহ দিতে। কিন্তু শারীরিক নানা দুর্বলতা এবং নানান জটিলতার কারণে অনেক মায়েদের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে আসে না। এটা শুধুমাত্র সন্তানের জন্য বিপদজনক এমন নয় এটা সেই মায়ের জন্য বিপদজনক হতে পারে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব বুকের দুধ কবে যাওয়ার মূল কারণ এবং আমরা এই কারণগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধানও খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।
তার কারণ হচ্ছে জাতি গঠনের জন্য শক্তিশালী মস্তিষ্ক এবং শক্তিশালী শরীর গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকটি শিশুকে এটা নিশ্চিত করতে তার মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে হবে।। তাই আমরা আমাদের সন্তানকে যদি ছোটবেলা থেকে সুস্থ এবং শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই তাহলে নিশ্চিত করতে হবে সে সন্তান যেন ৬ মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারে। সেই লক্ষ্যের সামনে রেখে আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব এই সমস্যা সম্পর্কে নানা তথ্য।
মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। আমরা বর্তমানে বাল্যবিবাহ দেখছি এবং এখন পর্যন্ত এই বাল্যবিবাহের প্রভাব আমাদের সমাজ থেকে যায়নি। যাই হোক না কেন অল্প বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি সন্তান নেওয়ার কারণে সাধারণত যে সমস্যাগুলো ফেস করে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সন্তান বুকের দুধ না পাওয়া। আর এর মূল কারণ হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। সার্বিক দুর্বলতার কারণে মূলত এই সমস্যা বেশি হতে পারে।
সাধারণত নরমাল ডেলিভারি থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির সংখ্যা বেশি। এটাও হতে পারে সন্তানের বুকের দুধ কম পাওয়ার একটি বড় কারণ তাই চেষ্টা করবেন যারা গর্ভবতী মায়ের আছেন তারা আগে থেকেই নরমাল ডেলিভারি হয় এমন প্রত্যেকটি অভ্যাস নিজের মধ্যে আনতে। চেষ্টা করতে হবে শেষ পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি করতে যাতে করে সন্তান সবদিক দিয়ে শক্তিশালী হয়।
মায়ের স্বাভাবিক মেজাজ যখন অস্বাভাবিক পর্যায়ে যায় তখন স্বাভাবিকভাবে সন্তানের দুধ দেওয়ার সময় তার দুধের পরিমাণটা কমতে পারে। ক্ষমতা অবস্থায় মেয়েদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে সন্তানকে খাওয়ানো অবস্থাতে কোনভাবে অন্যমনস্ক না হন এবং মেজাজ খিটখিটে যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রক্তশূন্যতা আরেকটি বড় কারণ এক্ষেত্রে অর্থাৎ যে সকল মায়েদের শরীরে সতর্ক প্রসব হওয়ার পরে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে তাদের স্বাভাবিকভাবেই বুকের দুধ কম হবে। তাই সবার প্রথমে দেখতে হবে মায়ের শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে কিনা রক্তশূন্যতা এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন কম হওয়ার কারণে সাধারণত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাচ্চারা বুকের দুধ না পেলে করণীয়
এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে সবার আগে মাকে যে তার সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পাচ্ছে কিনা। যখন তিনি বুঝতে পারবে তখন অবশ্যই পদে কে গ্রহণ করতে হবে এবং সবার প্রথমে আগে নিজের অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকে খেয়াল করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া এবং শরীরে রক্তস্বল্পতা ঘাটতির জন্য বিশেষ কিছু খাবার খেতে হবে মাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তারপরেও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ভিটামিন ওষুধ খেলে বুকের দুধ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।