হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার লক্ষণ

প্রাথমিক অবস্থাতে সাধারণত হিমোগ্লোবি কম হওয়ার কিছু লক্ষণ বোঝা যায়। যেগুলো আমরা নিজে থেকেই বুঝতে পারি আমরা যদি এই সমস্যাগুলো নিজে থেকে বুঝতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য ভালো। চলুন আজকে আমরা সকলে মিলে একটা বিষয় সম্পর্কে জানি সেটা হচ্ছে আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে কি কি জিনিস আমরা বুঝতে পারি বা কি কি সমস্যা আমাদের শরীরে হয়। এরকমভাবে যদি আমরা প্রত্যেকটা রোগের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে আমরা নিজের শরীরকে আরো বেশি সুস্থ রাখতে পারব।

হিমোগ্লোবিন যখন আমাদের শরীরে কমে যাবে তখন যে সমস্যাগুলো দেখা যাবে তার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে ত্বকের রং আকাশে হয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র ত্বকের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাবে এটা ভুল ধারণা এর পাশাপাশি আরো যে সমস্যাগুলো দেখা যাবে সেটা হচ্ছে মুখ বা মারি অথবা ঠোঁট এছাড়াও নিচের ঠোঁট বা চোখের নিচের অংশে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ‌।আরেকটি জিনিস খুব সহজে সেটা বোঝা যায় সেটা হচ্ছে আপনার নখের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া সেখানে রক্ত কম বলে মনে হচ্ছে এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার সমস্যাগুলোর মধ্যে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে হার্টের স্পন্দন বেড়ে যাওয়া। সাধারণত হার্টবিট বেড়ে যাওয়াকে হিমোগ্লোবিন ক্রমার একটি প্রাথমিক লক্ষণ এটার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত তা না হলে এটা থেকে বড় ধরনের সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

আমরা সকলে অবগত আছি হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হচ্ছে ফুসফুস থেকে শরীরের প্রত্যেকটি কোষের কাছে অক্সিজেন নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড ফুসফুসে নিয়ে আসা। যদি হিমোগ্লোবিন কমে যায় তাহলে ত্বকের কোষগুলোতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করে যার কারণে ত্বকে অনেক ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে নাক ভেঙ্গে যাওয়া এবং চুল পড়ার মতন সমস্যা দেখা যায়।

হিমোগ্লোবিনের অভাবে শরীরের দুর্বলতা দেখা যেতে পারে এবং যার কারণে শরীরের শক্তি কমে যায় এবং কাজ করতে ক্লান্ত লাগে। সাধারণত শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় যার কারণে খোঁজ গুলো সঠিকভাবে শক্তির যোগান দিতে পারেনা এবং যার ফলে আমরা অসুস্থ হই।

হিমোগ্লোবিন কম হলে কি খাওয়া উচিত

হিমোগ্লোবিন কম হলে সাধারণত যে খাবারগুলো আমাদের হিমোগ্লোবি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে সেগুলো সাধারণত এমন কিছু খাবার যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন রয়েছে। লৌহ সমৃদ্ধ খাবার যেটাকে আমরা আয়রন বলে থাকি সে খাবারের মধ্যে যেকোনো ধরনের কলিজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ডিম ও আপেলড় বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়া বিচি, খেজুরড় জলপাই, কিসমিস, ইত্যাদি জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণে এই উপাদানগুলো থাকে যেগুলো আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই অবস্থাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে।

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেক কমে যায় তাদের অবশ্যই হিমোগ্লোবিনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শরীরে রক্ত প্রদান করতে হয়। এটা অত্যন্ত জরুরী যে সঠিক সময় আপনি যদি এই রক্ত প্রদান না করতে পারেন তাহলে সেটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে আসতে পারে আপনাদের জন্য। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি একজন মানুষের শরীরে প্রতি ডেসিলেটেড়ে ৭ গ্রামের নিচে চলে যায় তাহলে সেটা বিপদজনক। এই অবস্থাতে যত দ্রুত সম্ভব সেই রোগীকে রক্ত দিতে হয় তা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

তবে এর আগেই একজন রোগীকে সতর্ক অবস্থানে চলে যেতে হয় যখন তার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ প্রতি ডেসি লিটারে ৯ অথবা ৮ হয়ে যায় তখনই তাকে রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং এটা কেন হলো তার সম্পর্কে যাচাই করতে হবে।