ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

আমার শরীরে কি হতে চলেছে সেটা আমি নিজেই উপলব্ধি করতে পারি তার কারণ হচ্ছে আমার শরীর আমার কাছে একেবারেই নিয়ন্ত্রিত। যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আছেন তারা এমনিতেই অনেক বেশি অসুস্থ থাকে তারপরে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তিনি নিজেই বুঝতে পারেন তার কি কি সমস্যা হয়েছে। সাধারণত রোগীদের প্রতিদিন দুইবার পর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে করে তার শরীরের কোন পরিবর্তন খুব সহজেই বোঝা যায়।

ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীদের বেশকিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণগুলো চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন এবং তারপরে তারা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন সেই রোগের মৃত্যু আসন্ন। বিভিন্ন পরীক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই পরীক্ষায় প্রায় 357 জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ওপর বিভিন্ন গবেষণা করা হয়। এই গবেষণাগুলো থেকে উঠে এসেছে প্রায় ৫৭ শতাংশ রুগী এই লক্ষণগুলো নিয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে একেবারে কমন কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

ক্যান্সার রোগীর যে সকল লক্ষণে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসন্ন

যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আছেন তাদের ক্ষেত্রে আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাস চোখের পিউপিল কোন প্রক্রিয়া করে না। এক ধরনের পরীক্ষা অর্থাৎ চিকিৎসকেরা রোগের সামনে আলোর বৃদ্ধি এবং হ্রাস করানোর মাধ্যমে দেখেন তার চোখের পিউপলে কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা যদি না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সেই ব্যক্তির মৃত্যু আসনের একটি লক্ষণ হচ্ছে এটা।আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে কথা বলার সময় মুজিব্বার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যখন কথা বলার সময় মুখ এবং জিব্বার প্রতিক্রিয়া কমাতে শুরু করবে তখন ধারণা করে নিতে হবে তার এটি বড় একটি লক্ষণ মৃত্যুবরণ করার।

ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের দৃষ্টি শক্তি যখন কমতে শুরু করে এবং সেটা যখন একেবারে কমে আসে তখন নিশ্চিত গল্পে বলা যায় যে মৃত্যুবরণ করার এটা আরও একটি লক্ষণ।অনেক খেতে দেখা যায় যে চোখের পাতা বন্ধ করতে না পারার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে। যাদের ক্যান্সার হয়েছে তাদের যদি এই ধরনের সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকেরা অনেক কিছুই বুঝতে পারেন।অনেক রোগীর ক্ষেত্রে নাক থেকে অথবা ঠোটের দুই কোন পর্যন্ত যে রেখা পরে তাতে ব্যাপক ভাজ পড়ে যায় এবং মনে হয় সেগুলো যেন কেমন রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে এটা আরেকটি বড় লক্ষণ।

মাথা সামনের দিকে নিয়ে আসা অর্থাৎ সেই রোগীর যতই চেষ্টা করুক না কেন তার মাথা ছেড়ে তুলে সে কথা বলতে পারছে না বা দেখতে পারছে না এটা ক্যান্সারের রোগীর মৃত্যুর আরেকটি বড় লক্ষণ।অনেক সময় দেখা যায় যে কন্ঠনালী থেকে গড় গড় আওয়াজ আসছে এটাও ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে বড় একটি লক্ষণ তার মৃত্যু আসন্ন এই হিসেবে।

ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে সকলের একটি প্রশ্ন আসে সেটা হচ্ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী টা কত দিন বাঁচবে। আসলে এই প্রশ্নটা হয়তো আমাদের ভুল করা হয় বাঁচা মরার সিদ্ধান্ত আল্লাহ তায়ালা নিজে করেন তাই এখানে কোন রোগ এসে নিশ্চিতভাবে রোগীকে মৃত্যুর করে ঢেলে দিতে পারবে এটা একেবারে অবাস্তব। ক্যান্সারে যেমন রোগী মৃত্যুবরণ করে আবার সেই ক্যান্সার থেকে অনেকে সুস্থ হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করে তাই কেউ কখনো ঠিকঠাক ভাবে বলতে পারবে না ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী কতদিন বাঁচবে।

ক্যান্সার কি বংশগত রোগ

অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে ক্যান্সার হচ্ছে একটি বংশগত রোগ। ক্যান্সার অবশ্যই বংশগত রোগ নয় এবং এটা একেবারেই ভুল ধারণা। তবে হ্যাঁ একই পরিবারের খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভ্যাস একই ধরনের হওয়ার কারণে যদি কোন রোগের ক্যান্সার হয় তাহলে ওই পরিবারের অন্য সদস্যের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।