আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে আসে নতুন নতুন সব আর্টিকেল। ঠিক সেরকমই আজকেও আমরা নিয়ে এসেছি গর্ভবতী মায়েদের জন্য নতুন একটি আর্টিকেল।
আজকের আর্টিকেল আমরা আলোচনা করতে এসেছি তাদের জন্য যারা সবেমাত্র গর্ভবতী হয়েছে সেটা চিনতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
সাধারণত গর্ভধারণের সময়কাল হল আপনার সর্বশেষ মাসিক বা পিরিয়ডের দুই সপ্তাহ পরে অর্থাৎ আপনার ডিম্বপাতের কাছাকাছি সময়ে। গর্ভধারণের চতুর্থ সপ্তাহে আপনার শরীরের পরিবর্তন এবং আপনার সাথে যা যা হতে চলেছে এছাড়াও আপনার সন্তান কিভাবে বড় হয়ে উঠছে সব সম্পর্কে আমরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নিই।
গর্ভধারণের চতুর্থ সপ্তাহ
গর্ভধারণের চতুর্থ সপ্তাহ বিশেষ করে অনেক মায়েরায় এ সময়ে বুঝে উঠতে পারেন না যে সে গর্ভবতী। তবে এ সময়ে একজন গর্ভবতী নারী সবার আগে যেটা লক্ষ্য করবে সেটি হল তার মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি হল সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের প্রধান লক্ষণ।
এছাড়াও গর্ভাবস্থার অন্যান্য লক্ষণ যেমন চাপ দিলেই স্থানে ব্যথা অনুভব করা ,এমন লক্ষণও থাকতে পারে এ সময়ে।আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মাসিকের তারিখে যোনিপথ তথা মাসিকের রাস্তা থেকে হালকা বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাতও হয়ে থাকে তবে মাসিক নিয়ন্ত্রণ কারে হরমোন গুলোর প্রভাবে এমনটা হয়ে থাকে এতে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন কোন মায়েদের গর্ভবতী হওয়া সত্বেও প্রতি মাসে মাসে মাসিক বা পিরিয়ড হয়ে থাকে এটিও সাধারণ একটি বিষয় এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে যদি রক্তপাতের পরিমাণ বেশি হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
চতুর্থ সপ্তাহে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়
গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে আপনি যদি পা দিয়ে রাখেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। গর্ভাবস্থায় চতুর্থ সপ্তাহ থেকে আপনাকে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো
আপনি যদি ইতিমধ্যে ফলিক অ্যাসিড সেবন শুরু না করে থাকেন তাহলে দেরি না করে এখন থেকে ফলিক এসিড খাওয়া শুরু করবেন। দৈনিক 400 মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট সেবন করুন আর ১২ তম সপ্তাহ পর্যন্ত এটি সেবন করা চালিয়ে যান। ফলিক এসিড সন্তানের জন্য অনেক প্রয়োজন এ সময়ে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন ফলিক অ্যাসিড হলো গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুপারহিরো।
গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে দৈনিক ১০ মাইক্রগ্রাম করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করুন ভিটামিন ডি শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও যদি আপনার ডায়াবেটিকস থাকে বা ওজন বেশি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ফলিক এসিড সেবনের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে তবে অবশ্যই ফলিক এসিড খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাবেন।
গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহ থেকে শুরু করে বারো তম সপ্তাহ পর্যন্ত আপনাকে ভারী কাজকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। এ সময় থেকে আপনার যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে। কিছু সতর্কতা রয়েছে যা প্রথম তিন মাসে মেনে চলা উচিত সেগুলো সম্পর্কেও মেনে চলবে। প্রথম তিন মাসের সর্তকতা এবং যত্ন নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে আর্টিকেলগুলো আপনি চাইলে সেগুলো পড়ে নিতে পারেন।
চতুর্থ সপ্তাহে গর্ভের শিশু কিভাবে বড় হচ্ছে
চতুর্থ সপ্তাহ হল গর্ভধারণের প্রথম দিকে। গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে মূলত গর্ভের চতুর্থ ও পঞ্চম সপ্তাহে ভুনাটি জরায়ুর ভেতরের আবরণীতে বেড়ে বেড়ে উঠতে থাকে। এছাড়াও এ সময়ে ভিতরে স্তরটি শ্বসনতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে যেমন ফুসফুস পাকস্থলী অন্ত্র ও মুত্রাসয় ইত্যাদিতে পরিণত হয়। মাঝের ইফতার টি পরিণত হয় হৃদপিণ্ড রক্তনালী মাংসপেশি ও হারে। গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে ব্রুনোটি একটি ছোট্ট কুসুম থলির সাথে সংযুক্ত থাকে যা একে পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।