চর্ম রোগের লক্ষণ

আপনারা যারা চর্মরোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন জায়গাতে ঘোরাঘুরি করার পরেও এখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তাদের উদ্দেশ্যে মূলত আজকের আর্টিকেল। সাধারণত এটা এমন একটি রোগ যে রোগে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে সেটার জন্য অনেক বেশি সময় দিতে হবে একজন রোগীকে। মূলত খুব সহজেই যে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বিষয়টি এমন নয় আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করতে হবে।

চর্ম রোগের যে উপসর্গ গুলো রয়েছে সেই উপসর্গগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।সাধারণত বয়সন্ধিতে এবং যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি সাধারন সমস্যা। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে তাহলে হয়তো হর মনের ভারসামহীনতা বা থাইরয়েডে জড়িত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে এটাকে অনেকেই চর্মরোগ বলে থাকেন।ডায়াবেটিস কিংবা শরীরের কোন অংশে প্রদাহের উপসর্গ হতে পারে চুলকানি। বিশেষ করে অতিরিক্ত বিলিরুবিন কিংবা ক্রিয়েটিনেন বের হয়ে যাওয়ার কারণে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে যার কারণে চর্ম রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

চর্মরোগের উপসর্গ হিসেবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল হয়ে যাওয়া এবং সেই স্থানে চুলকানিকে দায়ী করা যেতে পারে।তবে একটু খেয়াল করতে হবে সেটা দীর্ঘদিন ধরে আছে কিনা অর্থাৎ হঠাৎ করে চুলকানি হলে সেটা এমনিতেই সেরে যেতে পারে কিন্তু সে চুলকানি যদি প্রায় সাত দিনের ওপর ধরে থাকে তাহলে ভাবতে হবে সেটা চর্মরোগ।

অনেকের এলার্জি থেকে শরীরে গোটা গোটা বের হয় কিন্তু সেই গোটা গোটা যদি ভালো হতে না থাকে তাহলে হয়তো সেখান থেকে চর্ম রোগের উৎপত্তি করতে পারে। এলার্জি চিকিৎসা অবশ্যই করবেন কিন্তু এলার্জি ভালো হয়ে যাওয়ার পরে যদি সেটা থেকেই যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে আরো অন্য চিকিৎসা করাতে হবে।অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে দাউদ বের হয় যেমন গোপন অংশগুলো কেউ এর ছোবল থেকে মুক্তির রাখা যায় না এ সকল জায়গাতে যখন চুলকানি হবে তখন বুঝতে হবে এটা চর্ম রোগের আভাস। এ বিষয়গুলো খেয়াল করলে চর্মরোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

চর্মরোগ সারানোর উপায়

চর্মরোগ সারারাত হলে সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে কি ধরনের সমস্যা হয়েছে। একটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি আজেবাজে কোন জিনিস ব্যবহার করে চর্মরোগ ছাড়বে না এজন্য আপনাকে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন করতে হবে। তাই যখন এই সমস্যাগুলো ধরা পড়বে তখন বাড়িতে বসে না থেকে দেরি না করে একজন ভালো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান।তবে আর একটা বিষয় চর্ম রোগে আক্রান্ত হলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তাই চেষ্টা করতে হবে একটু ধৈর্য ধরতে। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে দেখা যায় তবে বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রেই অনেক সময় লাগে এই চরমোরার থেকে সুস্থ হতে তাই অবশ্যই ধৈর্য এখানে অনেক বড় একটি পরীক্ষা।

চর্ম রোগের ঔষধের নাম

চর্ম রোগের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায় তবে চর্ম রোগের ওষুধের ক্ষেত্রে সব সময় একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে কোন ধরনের চর্ম রোগ হয়েছে। সঠিক ঔষধ পাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে বাইরে থেকে সব চর্মরোগ দেখতে একই ধরনের কিন্তু চিকিৎসক সেগুলোর আলাদা আলাদা ধরনের খুঁজে বের করতে পারে এবং আলাদা আলাদা ওষুধ লিখতে পারে।

চর্ম রোগের ক্রিম

আপনার যে সমস্যা হয়েছে সে সমস্যা সমাধানে অবশ্যই বাজারে ওষুধ আছে। চর্ম রোগের বিভিন্ন সমস্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা হয় তাই আপনাকে সবার প্রথমে এটা আমাদের জানাতে হবে আপনার কি সমস্যা হয়েছে এবং এই কাজটি আপনি করতে পারেন কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে।