গর্ভবতী হওয়ার উপায়

প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতিরা বিয়ের ৩-৪ বছর পরেই সন্তান নেওয়ার প্ল্যান করে থাকেন। তবে হঠাৎ করে যখন সন্তান নিব বলে ভেবে থাকেন তখনই কিছু কিছু সময় সহজেই কনসেপ্ট হতে চায় না। ঠিক সেই জন্য অনেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার উপায় এবং বিভিন্ন টিপস নিয়ে যেগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।

অসংখ্য মানুষের অসংখ্য রকমের সমস্যা রয়েছে তাই আপনি যখন ভাবছেন যে আপনি একটি সন্তান নিবেন ঠিক সে সময়ে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সন্তান নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে কোন রকমের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

কারণ এই আধুনিক যুগে এসে বেশিরভাগ দম্পত্তির বিভিন্ন সমস্যার কারণে সহজেই সন্তান হচ্ছে না ঠিক সেই জন্যই প্রথম থেকে যদি একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যায় তাহলে আপনার সন্তান হওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। তো চলুন আমরা গর্ভবতী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময়

গর্ভবতী হওয়ার জন্য অনেক কিছু তো করা হয়ে থাকে এবার ভেবে দেখতে হবে একজন নারীর তার স্বামীর সাথে মিলিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে। হিসাব করলে দেখা যাবে স্ত্রীর টিপানো নিষিদ্ধ হওয়ার সময় হয়তো মিলন ঘটেনি যার ফলে গর্ভধারণও হচ্ছে না।

তাই একজন নারীর ডিম্বাশয় মাসে একবার যে সময় ডিম্বাণু তৈরি করে থাকে সে সময়টির লক্ষ্য রাখতে হবে। যখনই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র তখনই বীর্যের সংস্পর্শে এলে ডিম্বাণুটি নিষিক্ত হতে পারে। তবে শুক্রাণু নারীর গর্ভে গিয়ে প্রায় পাঁচ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে তখন যদি নারীর ডিম্বাণু প্রস্তুত হয় তখনই শুক্রাণু ডিম্বাণুটির সাথে মিলিত হতে পারে।

একজন নারীর মাসিক শুরুর দিন থেকে গুনে গুনে সাত দিন পর্যন্ত এই ডিম্বানু পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। এছাড়াও যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের কথা আলাদা কিন্তু যাদের প্রতি মাসে ঠিকঠাক মতো সঠিক সময় মাসিক হয় তারা এ বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন।

যাদের প্রতি মাসে নিয়মিত স্বাভাবিক মাসিক হয় তাদের পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্বামীর সাথে মিলিত হলেও এ থেকে গর্ভধারণ করার কোন সুযোগ থাকে না তবে গর্ভবতী হতে চাইলে এর পরের দশ দিন স্বামীর সাথে একবার করে মিলিত হলে কোন সমস্যা না থাকলে গর্ভবতী হবেন একজন নারী।

জন্মবিরতিকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা

একজন দম্পতি যখন ভাবেন যে তারা এখন একটি সন্তান নিতে চান ঠিক তখন থেকেই জন্ম নিরোধক ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধ না করলে কোনভাবেই একজন নারী গর্ভবতী হতে পারবেনা। তবে আপনি যদি পিন বন্ধ করেন তাহলে হুট করে বন্ধ না করে যেদিন পিল স্টেপ শেষ হয়ে যায় এর পরের মাসিকের প্রথম দিন আর পিল খাবেন না। মাসিক শুরু হলে তখন থেকে হিসাব রাখবেন।

ডিম্বানু প্রস্তুত হওয়ার আগে শারীরিক মিলন

পুরুষের শুক্রাণু জরায়ু বা ডিম্বনালীতে দুই থেকে তিন দিন বেচে থাকে তাই নারী ডিম্বাণু মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা নিষিদ্ধ হওয়ার অবস্থায় থাকে। এরপর সেখানে আর কোন শুক্রাণু কাজ করতে পারে না তাই ডিম্বানু নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাব্যদিনে শারীরিক মিলন না করে মাসিক শেষ হওয়ার পর একদিন পরপর শারীরিক মিলন করতে হবে।

যেন ডিম্বানু প্রস্তুত হলে শুক্রাণু মিলিত হতে পারে। জরায়ুতে অপেক্ষমান শুক্রানু সেটা করতে পারে।

অনেকের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যেটি হলো প্রতিদিন শারীরিক মিলন করলে তাড়াতাড়ি একজন মা গর্ভবতী হতে পারেন। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। কারণ প্রতিদিন শারীরিক মিলনে অবসাদ বা ক্লান্তি চলে আসতে পারে নারীর মিলিত হওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পুরুষের বীর্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে তাই সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে একদিন পর পর মিলিত হওয়ায় ভালো।