AMILING 10MG মিলিগ্রাম ট্যাবলেট অনেক পরিচিত একটি নাম। হতো এমন রোগী অনেকেই আছেন যারা AMILING 10MG ট্যাবলেট নিয়মিত খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ওষুধ সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করার মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। আপনারা একটি জিনিস গভীরভাবে যদি ভাবেন তাহলে একটু লক্ষ্য করবেন যে আমরা যে ওষুধগুলো প্রতিদিন খায় সেই ওষুধ সম্পর্কে আমরা অনেকেই একেবারেই অজ্ঞাত।
কিন্তু এর পেছনে কাদের দোষ আছে মূলত আমাদেরই দোষ আছে এবং যখন ভুল চিকিৎসার কারণে আমাদের আপনজন বা প্রিয়জন আরো বেশি অসুস্থ হয় অথবা মারা যায় তখন আমরা শুধুমাত্র কেন ডাক্তারকে দোষ দেই। সেখানে সমান ভাবে আমরাও নিজেরাও দোষী তার কারণ হচ্ছে আমরা যদি এই ওষুধগুলো সম্পর্কে একটু জ্ঞান রাখতাম তাহলে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ পেতাম এবং যদি ভুল চিকিৎসা আমাদের চোখে তখন ধরা পড়তো তাহলে হয়তো কোনোভাবেই আমাদের আপনজন বা প্রিয়জনগত হতো না।
এই সকল জিনিসগুলো আমাদের গভীরভাবে আহত করে তাই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে গণস্বতীর্ণতা বৃদ্ধির জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যাক যেখানে ঔষধ সম্পর্কে বাংলাতে খুব সহজ ভাষাতে মানুষকে কিছু তথ্য দেওয়া হবে যেগুলো পড়ার পর অবশ্যই একটি হলো সকলের ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান থাকবে না।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মূলত আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি AMILING 10MG ট্যাবলেট যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যামি ট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং যেই ওষুধটি বর্তমানে তৈরি করছে অপসনিন ফার্মা লিমিটেড। এই ওষুধের বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ০.৮৫ টাকা ইউনিট। চলুন তাহলে আমরা এমিলিন ট্যাবলেট সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করি এবং এই ট্যাবলেটের সঠিক মাত্রা এবং একজন রোগী কতটুকু ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারবে সেটা জানি।
AMILING 10MG এর সঠিক কার্যকারিতা
যে সকল রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের বিষন্নতায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট অত্যন্ত কার্যকরী। মূলত যাদের বিষন্নতার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে তাদেরকে ডাক্তার এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করে। তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধটি আপনাকে আপনার বিষন্নতা কমিয়ে আপনাকে শান্ত করে তুলবে এবং আপনার ঘুম চলে আসবে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শিশুদের রাত্রিতে বিছানায় মুত্র ত্যাগের অভ্যাস আছে এবং সেই অভ্যাস কখনো ভালো হতে চায় না সেই ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের সমস্যা অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করে এবং মাইগ্রেট সমস্যার শুরু থেকে প্রতিরোধে AMILING 10MG ট্যাবলেট অত্যন্ত কার্যকরী।
এছাড়া আমরা অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করি এবং কারা কারও অবস্থায় এমন হয়ে যায় যে দুশ্চিন্তা করতে করতে সে মাথা ব্যথার সৃষ্টি করে। এই ধরনের দুশ্চিন্তা জনিত মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সবার প্রথমে ডাক্তার সাহেব আপনাকে AMILING 10MG ট্যাবলেট খেতে বলতে পারে এর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার জন্য আপনি এই ওষুধ খেতে পারেন। সবমিলিয়ে এই ধরনের সমস্যাগুলোর কারণেই মূলত AMILING 10MG ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
AMILING 10MG ট্যাবলেট খাওয়ার পরিমাপ
AMILING 10MG ট্যাবলেট বিষন্নতার ক্ষেত্রে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রাথমিক অবস্থাতে 75 মিলিগ্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মাত্রা দিনে সর্বোচ্চ 75 মিলিগ্রাম থেকে শুরু করে ১৫০ অথবা ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারে বয়স এবং রোগীর পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে। আপনি মাত্র এক সঙ্গেও দিতে পারেন অথবা আলাদাভাবেও দিতে পারেন তবে এখানে ডাক্তারের সঠিক পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে। আরেকটা বিষয় জানাতে যায় যে যে সকল শিশুদের বয়স ১৬ বছরের নিচে তাদের বিষন্নতা রোগের ক্ষেত্রে এই ওষুধের প্রয়োজনীয়তা নেই।
অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের রাতেতে মূত্রত্যাগের প্রবণতা থেকে যায় এবং সেই রাত্রিতে মুত্র ত্যাগ যদি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং ৭-১০ বছরের শিশুদের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এর পাশাপাশি ১১ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের জন্য ২৫ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে হবে। এই চিকিৎসা সীমার সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত সময় থাকা উচিত।