Betamenson-N Cream এখানে ব্যবহার করা হয়েছে দুইটি উপাদান, যে দুইটি উপাদান আপনার শরীরের বা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন এই ঔষধ সম্পর্কে প্রথমে জানা যাক এর পরবর্তীতে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ঔষধ এর সঠিক কার্যকারিতা মানব ত্বকের জন্য। এখানে প্রথম যে উপাদানটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হচ্ছে বিটামিথাসন, এবং এখানে নিউমাইসিন সালফেট ব্যবহার করা হয়েছে। ওপরে উল্লেখিত দুইটি উপাদান যথাক্রমে ০.১% এবং যথাক্রমে 0.5% ব্যবহার করা হয়েছে।
এই দুটি উপাদান এর সংমিশ্রণে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করেছে Betamenson-N Cream যার বর্তমান বাজার মূল্য 35 টাকা। আজকে আমরা এই ওষুধ মানব শরীরের ওপর কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো এবং বিভিন্ন ক্ষত বা বিভিন্ন এলার্জিক রিঅ্যাকশনের বিরুদ্ধে এই ঔষধ কাজ করে কিভাবে সেটাও জানব।
Betamenson-N Cream এর সঠিক কার্যকারিতা কি
সাধারণত এই ক্রিম ব্যবহার করা হয় আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের চুলকানি বা এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। শরিয়াসিস ধরনের চর্মরোগ যদি কোন রোগের থেকে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সাধারণত চর্মরোগগুলোকে আমরা একেবারে অবহেলা করে কিন্তু এ চর্মরোগ কোনভাবেই চিকিৎসা ছাড়া আপনার শরীর থেকে ভালো হবে না সেটা আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে।
তাই বাড়িতে বসে থেকে কোন লাভ নেই বলে আমি মনে করি। সরাসরি একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান অবশ্যই তিনি আপনাকে ভালো পরামর্শ দেবে এবং আজকের এই Betamenson-N Cream শুধুমাত্র যে শরিয়াসিসের জাতীয় চর্মরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন নয়। সাধারণত পুড়ে গেলেও এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। পুড়ে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেলে বা বিভিন্ন ক্ষতস্থান তৈরি হলে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আঘাত এবং ক্ষতস্থানের জন্য এই ক্রিম অত্যন্ত কার্যকরি।
এছাড়াও ক্ষতস্থানে নতুন জন্ম সংস্থাপনে অথবা বহির কর্ণের প্রদাহ এবং অষ্ট পা৪ পরবর্তী সংক্রমণ রোধে ব্যবহার করা হয় Betamenson-N Cream।গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ অণুজীব দ্বারা সংক্রমিত বাহ্যিক সংক্রমণ এই প্রিপারেশন ব্যবহার্য। তাই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ যদি কোন ধরনের চুলকানি বা কোন ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয় তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার যদি এই ধরনের রোগের উপসর্গ আপনার শরীরে পায় বা আপনার ত্বকের উপর বুঝতে পারে তাহলে অবশ্যই Betamenson-N Cream আপনাকে নির্দেশ করবে।
Betamenson-N Cream ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম
মূলত আজকের এই ক্রিমটি আপনি আপনার আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪বার ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের প্রয়োগ মাত্রা জেনে নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে প্রয়োগ মাত্রা কমিয়ে প্রতি ৭ দিনে একবার হওয়া পর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এটা খুব সুন্দর একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার ক্ষতস্থান কে সারিয়ে তুলতে সবার প্রথমে অতিরিক্ত মাত্রায় এই ক্রিম ব্যবহার করবেন।
কিন্তু অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ক্রিম ব্যবহার করা আস্তে আস্তে কমিয়ে দিতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে যেন প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবারে দেওয়া হয় এই পর্যায়ে পর্যন্ত যেতে হবে ক্রিম দেওয়া কমাতে কমাতে। এরপরে আপনি যখন দেখবেন আপনার সেই ক্ষতস্থান পুরোপুরি সেরে উঠেছে তা এখন পুরোপুরি বন্ধ করে দিন।
এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের কথা যদি বলি শিশুদের বয়স এক বছরের কম হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। তাই অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে আপনাকে এই জিনিসটা খেয়াল করতে হবে এবং এক বছরের ঊর্ধেক শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৫ দিনের বেশি এটা ব্যবহার করা যায় এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না।