সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কি অ্যান্টিবায়োটিক Ciprofloxacin 500 mg

একটি ঔষধ বহুবিধ উপকারে আসে এমন ওষুধ কি বা হতে পারে। সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে মানুষ আদিম যুগে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সব সময় গাছ-গাছটা ব্যবহার করত। মানুষ যতটা আধুনিক হয়েছে এই চিন্তা ভাবনা মানুষের ততটাই আধুনিক হয়েছে এবং বর্তমানে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণ তৈরি করে মানুষ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা ওষুধ তৈরি করতে পেরেছে।

ঠিক যখন মানুষ এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করল তখন তারা একটি নতুন যুগান্তকারী ইতিহাস তৈরি করল মানব সভ্যতার চিকিৎসার জন্য। এন্টিবায়োটিক আপনার শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আপনি ভাবতেও পারবেন না এবং এই একটি এন্টিবায়োটিক যে আপনার শরীরে কতটা উপকার কত ভাবে করতে পারে সেটাও আপনি ভাবতে পারবেন না। তবে শুধুমাত্র উপকার দেখলে হবে না সেই এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে সেই এন্টিবায়োটিক আপনার জন্য মরণঘাতি হতে পারে সেটাও আপনাকে জানতে হবে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ট্যাবলেট এর সঠিক নির্দেশনা

নির্দেশনা বলতে ডাক্তারেরা যে নির্দেশ দেয় অর্থাৎ এই ওষুধ যে রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে বা এই ওষুধ কি কাজ করে সে বিষয়ে এখন আমরা আপনাদের জানাবো। সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত বিভিন্ন সমস্যার জন্য যেমন নিউমোনিয়া জনিত রোগের বিরুদ্ধে এই ওষুধ কাজ করবে। মূত্রুতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন জটিল এবং মন্ত্রণালীর সংক্রমণ সিস্টাইছিস এ ধরনের রোগের বিরুদ্ধে এই ওষুধ কাজ করে। এছাড়াও ত্বক ও কোমল কোষ কলার সংক্রমণের জন্য এই ঔষধ এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।

যাদের শরীরের তীব্র সিস্টেমেটিক সংক্রমণ দেখা দেয় যেমন ব্যাক্টের রিমিয়া ও প্রেরিটনাইটিস অসুখ তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও চোখ নাক কান ও গলার বিভিন্ন সংক্রমণ বা ইনফেকশনের কারণে এই ঔষধ সরাসরি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ যেমন আর্থাইটিস জাতীয় সমস্যার কারণে এই ঔষধ সরাসরি ব্যবহার করা হয়। এগুলো গেল এই ওষুধের মূল কাজ এর বাইরে এই ঔষধ যে কতটা কার্যকর এবং প্রায় 200 বেশি অসুখের বিরুদ্ধে এই ওষুধ লড়াই করতে পারে সেটা জানলে আপনি সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ট্যাবলেট এর সেবন বিধি

এটি যেহেতু একটি কার্যকরী এই ওষুধ তাই এটা সেবনের ক্ষেত্রে সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সতর্ক না হলে আপনি যেকোনো সময় এই ঔষধ খেয়ে আরো বেশি অসুস্থ হতে পারেন। যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছে তাদের জন্য সাধারণত প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দিনে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যাদের ঊর্ধ্ব ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ আছে তাদের জন্য দৈনিক মাত্রা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দুইবার।

গনোরিয়া হলে অবশ্যই ২৫০ বা ৫০০ মিলিগ্রাম একটি করে একক মাত্রা দেওয়া হয় এবং অধিকাংশদের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দিনে দুইবার দেওয়া যেতে পারে। শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের পরিমাণ একটু কমে আসবে। শিশুদের অসুখের তীব্রতা অনুযায়ী 7.5 থেকে 15 মিলিগ্রাম প্রতি ওজন বা প্রতি কেজিতে দেওয়া হয়।তবে অবশ্যই চিকিৎসার মেয়াদকাল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই ওষুধটি চিকিৎসার মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ দিন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সিপ্রোফ্লক্সাস এর ৫০০ ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক সাংঘাতিক তাই কোনভাবেই এর পার্শ্বপ্রতিকরা এড়িয়ে চলা যাবে না। এর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে জীবনে ঝিমুনি ভাব এবং বমি বমি ভাব এছাড়া অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে এবং শরীর অতিরিক্ত দুর্বল ক্ষুধা বন্দার সৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি যেহেতু একটি অ্যান্টিবায়োটিক তাই সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এই অ্যান্টিবায়োটিক এর সঠিক মাত্রা আপনি যদি প্রয়োগ না করেন এবং এই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট যদি আপনার শরীরে থেকে যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে হতে পারে কোন এন্টিবায়োটিক আপনার শরীরে কাজ করবে না এবং আপনি ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন।