ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং এই ক্যালসিয়াম দ্বারা আমাদের শরীর মাতৃগর্ভ থেকে গঠন প্রাপ্ত হয়ে জীবনের শেষ পর্যন্ত কাজে আসে। কিছু কিছু উপাদান আমাদের শরীরের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে সেই উপাদানগুলো মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। আজকে আমরা তেমন একটি উপাদান এর কথা বলব এবং জানার চেষ্টা করব Coralcal D ট্যাবলেট সম্পর্কে।
Coralcal D ট্যাবলেটটি বর্তমানে বাজারজাতকরণ করছে রেডিয়েন্ট ফার্মেসিউটিক্যালস লিমিটেড। ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর সঙ্গে ভিটামিন D3 ২০০ আইইউ যুক্ত করে মূলত এই ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় হলো এখানে কোরাল সোর্স থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট সংগ্রহ করা হয় তাই এই Coralcal D অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ। আপনার যদি এই রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ওষুধটি কিনতে চান তাহলে জেনে রাখুন এর প্রতি ইউনিট প্রাইজের দাম পড়বে ১২ টাকা।
Coralcal D ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা কি
প্রত্যেকটি ঔষধে রয়েছে সঠিক কার্যকারিতা এবং সেই ওষুধগুলো মূলত রোগের শরীরের উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়ে থাকে। আজকে আমরা Coralcal D ট্যাবলেটের বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে এবং একজন ডাক্তার কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে অথবা কোন অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই ওষুধটি নির্দেশনা দিবেন সেটা জানব। আমরা হয়তো ওপরে এর প্রিপারেশন সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি যেখানে 2টি উপাদান প্রিপারেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এটিতে দেওয়া হয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট কোরাল সোর্স থেকে এবং আরেকটি তে দেওয়া হয়েছে ভিটামিন D3। এই দুটি উপাদানের কার্যকারিতা সম্পর্কে যদি আপনাদের ধারণা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন এই ট্যাবলেট এর মূল কার্যকারিতা।
Coralcal D মূলত অস্টিওপোরোসিস এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের যত সমস্যা আছে সেগুলো পূরণ করতে এটা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও দেখা যায় যে খাদ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে শিশু কিশোরদের দ্রুত বৃদ্ধির সময় ইহা দেওয়া হয় গর্ভবতী মাকে। এছাড়াও এর বাইরে কিছু জিনিস বা কিছু অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এই ওষুধটি দেওয়া হয় যেমন তীব্র কিডনি অক্ষমতায় ফসফেট বাইন্ডার হিসেবে এবং এর পাশাপাশি রয়েছে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ প্রতিরোধে।
Coralcal D ট্যাবলেট এর সঠিক খাবার মাত্রা
এই ওষুধটি সঠিক পরিমাণে খেতে হবে তা না হলে অবশ্যই আপনার শরীরে সমস্যা জন্ম নিতে পারে। এই ওষুধটি খাওয়ার প্রধান ধর্ম হলো প্রচুর পরিমাণে পানির সঙ্গে এটা খেতে হবে। অনেকে আবার মজা করে এটাকে সমুদ্রের ঔষধ হিসেবে তুলনা করে তার কারণ হচ্ছে সমুদ্রের প্রচুর পরিমাণে পানি পাওয়া যায় এবং সমুদ্রের কোরাল থেকে যেহেতু ক্যালসিয়াম কার্বনের সংগ্রহ করা হয়েছে তাই এটা খাওয়ার সময়ও ঠিক একই পরিমাণ সমুদ্রের মতো অসীম পানি খেতে হবে।
আসলে এমন কিছু নাই একটি ট্যাবলেট দিনে 1বার অথবা 2বার খেতে পারেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই খেতে হবে। অবশ্যই এই ওষুধটি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং যখন এই ওষুধটি খাওয়া বন্ধ করে দেবেন তখনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধ করুন।
Coralcal D ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যদি এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে জেনে রাখুন প্রথমত গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান কালে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটা খাওয়া যায়। এছাড়াও এর মৃদু থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মূত্র হ্রাস ও দীর্ঘদিন ব্যবহার প্লাজমা এবং সিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মাথা পরিমাণ করতে হবে। যে সকল রোগের ক্ষেত্রে কিডনির পাথর সৃষ্টির ইতিহাস আছে সেসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতার সঙ্গে এই ওষুধটি খেতে হবে। আশা করছি এই ওষুধ সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক তথ্যই আজকে আপনারা সংগ্রহ করতে পারলেন।