ইকোস্পিন ৭৫ এর কাজ কি Ecosprin 75 MG

ইকোস্পিন ৭৫ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পরিচিত একটি ঔষধের নাম। ঔষধের মূল্য অনেক কম কিন্তু এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। যাদের ইকোস্পিন ৭৫ খেতে বলা হয় তাদের দীর্ঘদিন ধরে ইকোস্পিল ওষুধ খেতে বলা হয় এবং এর মূল কারণ সম্পর্কে আমরা জানব। ইকোস্পিন ৭৫ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞাত এবং ইকোস্পিন ঔষধ কেন খায় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞাত।

এই ঔষধে মূলত ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাসপেরিন ৭৫ মিলিগ্রাম। এক্সপিরিন উপাদানটি মূলত কি কাজ করে এবং স্পিরিল উপাদান খাবার সঠিক নিয়ম কি সেটা যদি আমাদের না জানা থাকে ভাবা উচিত নয়। তাহলে চলুন আপনি এই ওষুধ কেন খাবেন অথবা কোন ডাক্তার এই ওষুধ আপনাকে কেন নির্দেশ করবে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

ইকোস্পিন ৭৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কাজ কি

প্রত্যেকটি ঔষধের সঠিক খাবার নিয়ম আছে এবং এই সঠিক খাবার নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি ঔষধ খান তাহলে অবশ্যই আপনি সুস্থ হবেন। যদি আপনি সঠিক নিয়ম না মেনে ঔষধ খান তাহলে সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতায় বেশি থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই আপনি কোন ঔষধ সেবন করবেন না এবং আজকে আমাদের এখান থেকে জানুন কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে সাধারণত ডাক্তার আপনাকে এই ওষুধ খেতে বলবে।

সবার প্রথমে বলতে গেলে ধমনীর প্রতিবন্ধকতার প্রতিষেধক হিসাবে। আমি আপনাদের বুঝিয়ে বলছি সেটা হচ্ছে আমাদের শরীরে যে শিরা ও পোশেরা গুলো আছে অর্থাৎ রক্ত নালীগুলো আছে সেগুলোতে যদি কোন ধরনের বাধা থাকে সেই বাধাগুলো পরিষ্কার করার জন্য মূলত এই ঔষধ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যাথা যেমন মাথাব্যথা থেকে শুরু করে মাংসপেশীর ব্যথা অথবা দাঁতের ব্যথা এছাড়াও মেয়েদের ঋতুচক্রেরজনিত ব্যথার কারণে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

অনেক রোগীদের খেতে ব্যথা এবং প্রদাহ জনিত দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে এই ওষুধ দেওয়া হয়। সাধারণত এই ধরনের রোগ কে বলা হয় অস্থি সন্ধির বা জনিত ব্যথা এবং সেই ধরনের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই মূলত ডাক্তার একজন রোগীকে এই ঔষধ খেতে বলবেন। অনেক সময় জ্বর উপসম হিসেবে অর্থাৎ ঠান্ডা জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার এর মত জ্বর প্রতিষেধক হিসেবে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আমরা ভাবতাম যে এই ওষুধ একটি মাত্র রোগের বিরুদ্ধে লড়াই কিভাবে কিন্তু আজকে আমরা হয়তো এই ধারণা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে পারবো।

ইকোস্পিন ৭৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক খাবার নিয়ম

ব্যথা জনিত এবং প্রদাহ জনিত রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অথবা জ্বরের কারণে এই অ্যাসপিরিন ৭৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ চার গ্রাম করে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ ৪০০ মিলিগ্রাম প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে বিভক্ত ভাবে।

এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে একিউট স্কেটনিক এর প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে ১৫০ মিলিগ্রাম থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম। মূলত যাদের ধারণা করা হয় যে এই সকল রোগী স্ট্রোক এই আক্রান্ত হয়েছে অথবা স্ট্রোক হতে চলেছে তাদের ক্ষেত্রে দেরি না করে সরাসরি এই ঔষধ সর্বোচ্চ ১৫০ মিলিগ্রাম থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ডাক্তার সাহেব রেফার্ড করতে পারেন।

এ ছাড়াও অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বাইপাস সার্জারির পরে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বাইপাস সার্জারিতে 6 ঘন্টা পর থেকে প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। সবথেকে ভালো বিষয় হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গেলে বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে অন্যান্য ঔষধের যে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো আছে সেগুলো হতে পারে এছাড়াও বড় পার্শ্ব প্রতিকার মধ্যে আছে জিল্লির প্রদাহসহ ফুসফুসের খিচুনি ইত্যাদি।