এলাট্রল ১০ এর কাজ কি Alatrol 10 mg Tablet

আমরা যখন অসুস্থ হই তখন অবশ্যই আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কিছু উপাদান এর প্রয়োজন পড়ে সেই উপাদানগুলো যদি সঠিকভাবে আমাদের শরীরে দেওয়া হয় তাহলে আমরা সুস্থ হতে পারি। সে উপাদান গুলো সাধারণত ওষুধের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করানো হয় তার কারণ হচ্ছে অসুস্থ থাকা অবস্থাতে আমরা খাবারের মাধ্যমে সেই উপাদানগুলো প্রবেশ করাতে পারি না।

আজকে যে ট্যাবলেট নিয়ে আমরা কথা বলছি সেটা সাধারণত একটি উন্নতমানের ট্যাবলেট এবং বহু ব্যবহৃত একটি ট্যাবলেট। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের একটি পণ্য এবং এই ঔষধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ঔষধ সকল মানব শরীরের জন্য। সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ১০ মিলিগ্রামের মাধ্যমে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে আজকে আমরা এই ওষুধের সকল খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আশা করবো সম্মানিত পাঠকরা ধৈর্য সহকারে প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়বেন এবং আমাদের উৎসাহিত করবেন।

 

এলাট্রল ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কাজ কি

এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় ওয়েব সিজনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জিজনিত লক্ষণসমূহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। হঠাৎ করে আপনার সর্দি হয়েছে বা হঠাৎ করে আপনার জ্বর জ্বর ভাব লাগছে এবং গলা ব্যথা হয়েছে তখন আপনাকে এই ওষুধ ডাক্তার সাজেস্ট করতে পারে। এছাড়াও এলার্জিজনিত অ্যাজমা চিকিৎসার্তেও এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ একটি ঔষধ শুধুমাত্র যে একটি বা দুইটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন নয় একটি ঔষধে রয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। তারপরে সরাসরিভাবে যে সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তাকে সেই সমস্যার ঔষধ বলা হয়ে থাকে।

আজকের ওষুধটিতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেই উপাদান আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না বলেই আমরা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি না। বিভিন্ন দলের এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে মূলত ব্যবহার করা হয়  এলাট্রল ১০ ট্যাবলেট। তবে এর বাইরে এর কিছু ব্যবহার রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে যেখান থেকে আমরা এই ওষুধের অতিরিক্ত কোন ব্যাপার আছে কিনা সেটা জানাবো।

এলাট্রল ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

সঠিক নিয়মে ওষুধ খেতে হবে এই বিষয়ে আমরা প্রত্যেকে ই উদাসীন। আমার যতই মনে মনে সংকল্প করি না কেন আজকে থেকে সঠিকভাবে ওষুধ খাব সে সংকল্প সেই দিনই নষ্ট হয়ে যায় তার কারণ হচ্ছে আমরা কেউই সঠিক নিয়মে ওষুধ খেতে পারি না। কারো ক্ষেত্রে এটা হতে পারে অলসতা আবার কারো ক্ষেত্রে হতে পারে এটা ভুলে যাওয়ার কারণ তবে আমরা যখনই ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ওলট পালন করে দেবো তখনই এটা বুঝতে হবে যে সঠিকভাবে রোগ নিরাময় হচ্ছে না। চলুন আজকের ওষুধের সঠিক পরিমাপ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

যে সকল রোগীদের বয়স ৬ বছরের উপরে বা যাদের প্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয় তাদের জন্য দৈনিক একটি ট্যাবলেট বা দুই চা চামচ এই ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও যে সকল রোগীদের বয়স দুই থেকে ছয় বছরের মধ্যে অর্থাৎ আমরা যাদেরকে বাচ্চা বলে থাকি তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক এক চা চামচ করে একবার অথবা হাফ চা চামচ করে দৈনিক দুইবার খাওয়ানো যেতে পারে। এর থেকে কম বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যাদের বয়স ৬ মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য ওষুধ সেবনের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সব থেকে ভালো এবং সব থেকে উত্তম সিদ্ধান্ত হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করানো তার কারণ হচ্ছে শিশু বয়সে কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীর থেকে গেলে সেটা হতে পারে তার সারা জীবনের ক্লান্তির কারণ হতে পারে। তবে এখানে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তাতে দৈনিক হাফ চা চামচ করে একবার খাও না যেতে পারে সর্বোচ্চ ১ বার।