Esotid 20mg এর কাজ কি ইসোটিড ২০

সাধারণত আমাদের দেহে এখন সব থেকে বড় এবং সবথেকে ঝামেলার রোগ হচ্ছে গ্যাস। গ্যাস এমন একটি জিনিস যেটা আস্তে আস্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অনেকে যারা মনে করেন গ্যাসের কারণে শরীরের অন্যান্য সমস্যা হয় না তাদেরকে বলব এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। আর এখন থেকে নিজেকে সঠিক পথে নিয়ে যান তার কারণ হচ্ছে আপনার লিভার যদি ভালো না থাকে আপনার পুরো শরীর যেকোনো সময় অকেজো হয়ে যেতে পারে।

আজকে আমরা কথা বলব অপসোনিন ফার্ম লিমিটেড কোম্পানির Esotid 20mg ট্যাবলেট নিয়ে। এখানে ইসমিপ্লাজোল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমত আমরা জানার চেষ্টা করব এই ওষুধ আমাদের শরীরে কোন কোন উপকার করতে পারে এরপরে আমরা আরও জানার চেষ্টা করব এই ওষুধ খাবার সঠিক মাত্রা এবং খাবার নিয়ম সম্পর্কে। এ পাশাপাশি এই ওষুধ অতিরিক্ত খেলে কি ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে এবং এই সমস্যার সমাধানে আমরা কি কি উপায় খুঁজে নিতে পারি সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

Esotid 20mg খেলে কি কি উপকার হয়

সাধারণত এই ট্যাবলেট আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত খান তাহলে আপনার যে কোন ধরনের গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। তবে নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়ার মধ্যে অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ আপনি যেই তেল যুক্ত বাইরের খাবার খাচ্ছিলেন অথবা বাড়িতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাচ্ছিলেন সেগুলো একেবারেই পরিহার করুন। শাকসবজি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করুন অবশ্যই গ্যাসের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন।

এগুলো গেল সাধারণ সমস্যা তবে এই ট্যাবলেট কিছু জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স রোগ এটা হয়তো আপনাদের মাথায় ঢুকবে না কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাষায় এটা অনেক জটিল একটি রোগ যেটা আমাদের লিভারের জটিল সমস্যার তৈরি করতে পারে। এ পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলীর আলসার বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলীর ক্ষত ছেড়ে তুলতে এটা কাজ করে। এসিড সম্পর্কিত ডিস্পেসিয়া সমাধানে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ডিওডেনাল অথবা গ্যাস্ট্রিক আলসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। জলিঞ্জার ইলিশ অন নামক একটি রোগ আছে সেই রোগের উপসর্গ যদি কোন রোগের শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এরা এই ট্যাবলেট প্রেসক্রাইব করবেন।

Esotid 20mg ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক মাত্রা

গ্যাসের ওষুধ আমাদের কাছে সবথেকে সহজলভ্য ওষুধ কিন্তু আমরা যখন কোন জিনিসকে এত সহজে কাছে পাই তখন তার অপব্যবহার শুরু করে। গ্যাসের ওষুধ এত অতিরিক্ত পরিমাণে কখনোই খাওয়া যাবেনা চলুন আজকে সঠিক মাত্রা জানার চেষ্টা করি। এটা সাধারণত খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পূর্বে সেবন করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে ২০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার করে চার থেকে আট সপ্তাহ সর্বোচ্চ খাওয়া যাবে।

এছাড়াও আরো অন্যান্য সমস্যার সমাধানে দৈনিক ২০ মিলিগ্রাম করে ছয় মাসের অধিক সময়খালের ক্ষেত্রে এই রোজ প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ এটা বোঝানো হয়েছে আপনি যদি দৈনিক ২০ মিলিগ্রাম করে এই ট্যাবলেট খান তাহলে এটা কন্টিনিউ ছয় মাসের অধিক খাওয়া যাবেনা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ডিওডেনাল আলসার নির্মূলের ট্রিপল থেরাপিতে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম এর সঙ্গে এজিথ্রোমাইসিন ১০০০ মিলিগ্রাম এবং অন্য একটি ওষুধ 500 মিলিগ্রাম দেওয়া যেতে পারে।

Esotid 20mg দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অন্য কিছু কিনতে আমাদের কষ্ট হলেও গ্যাসের ওষুধ কিন্তু আমাদের কোন কষ্ট হয় না তাই এখানে আমার কাছে মনে হয় এই ট্যাবলেটের দাম যখন প্রতি পিছের 6.50 টাকা তাহলে সেটা আপনাদের কাছে অনেক কম মনে হবে। আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গেলে প্রত্যেককে শরীরে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তার কারণ হচ্ছে আমরা প্রতিনিয়ত এই ওষুধ খেতেই থাকি আর খেতেই থাকি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই এই ওষুধ খাবেন না বিভিন্ন সময় পেটে জ্বালাপোড়া থেকে টল পেট ব্যাথা ও বমি বমি ভাব এছাড়াও মাথাব্যথাও দেখা দিতে পারে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে।