Febus 40 এর কাজ কি ফেবাস ৪০এম জি

সবার প্রথমে আমরা এই ওষুধের পরিচিতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব তারপরে আস্তে আস্তে এর সঠিক কার্যকারিতা এর মাত্রা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো জানবো। এটা হচ্ছে এসিআই লিমিটেডের একটি পণ্য। যে সকল পরিচিত ট্যাবলেট গুলো আমরা নিয়মিত সেবন করি সেই ট্যাবলেট গুলোর বাইরে আজকের এই ট্যাবলেট। সাধারণত একজন অসুস্থ রোগী যখন ডাক্তারের কাছে যাবে ডাক্তারের প্রচেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই রোগীকে সুস্থ করানোর। তবে এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে সঠিক দিকনির্দেশনা।

আমরা এখানে যেই তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব সেই তথ্যগুলো অনলাইন হতে প্রাপ্ত এবং সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সেটা সংগ্রহ করা হয়। এর বাইরে সাধারণত চিকিৎসার এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলো উপস্থিত বুদ্ধি এবং রোগীর উপস্থিত শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে করতে হয়। এর জন্য আমরা আপনাদের এটা প্রথমে জানাচ্ছি যে যে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবথেকে উত্তম রাস্তা। আশা করছি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

Febus 40 সঠিক কার্যকারিতা

সাধারণত এই ট্যাবলেট গাউট রোগীদের ক্ষেত্রে হাইপার ইউরেশিমিয়া দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশিত করা হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ আমাদের শরীরে আছে সেই রোগ গুলো নিরাময়ের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি। আজকে আমরা যে নতুন রোগের সঙ্গে পরিচিত হলাম সেই রোগ অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যদি এই ধরনের জটিল রোগ কোন রোগীর শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে Febus 40 ঔষধ দিতে হবে।

তবে আপনি যদি এই রোগ বাদে অন্য কোন সমস্যার জন্য এই ঔষধ কোন রোগীকে রেফার করেন তাহলে সেটা হবে ভুল। এই ধরনের রোগের উপসর্গ ছাড়া অন্যান্য কোন রোগের উপসর্গের জন্য এই ট্যাবলেট নির্দেশিত নয় তাই অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের কাছে গিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। যেহেতু এটা হচ্ছে জটিল রোগ সেও তো রোগ নির্ণয় করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজসাধ্য ব্যাপার নয় তাই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের হাতে এই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।

Febus 40 মাত্রা ও সেবন বিধি

মাত্রা ও সেগুন বৃদ্ধি সম্পর্কে বলতে গেলে প্রস্তাবিত শুরুর ডোজ 40 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতিদিন একবার। এরপরে ৪০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের সাথে দুই সপ্তাহ পরে যে সমস্ত রোগের সিরাম ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমাণ ৬.০ কম হয় না তাদের জন্য ৮০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুনরায় দুই সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ পরে যদি সিরাম ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেও যদি একই পরিমাপ হয় তাহলে ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত প্রতিদিন একবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এই ডোজ মেইনটেইন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেটা করতে হবে।

উপরে উল্লেখিত রোগীদের ছাড়াও যারা জটিল সমস্যায় ভুগছেন অথবা শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই উপস্থিত ডাক্তারের বুদ্ধিমতাবেক এবং উপস্থিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কতটুকু ওষুধ খাবেন। মূলত সেখানে থাকা ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা অথবা রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে মাত্রা নির্ধারণ করে দেবে যেটা সবথেকে ভালো উপায় হবে বলে মন আমি মনে করি।

Febus 40 দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে গাউট প্লেয়ার, এছাড়াও অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হতে পারে এর পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া অথবা বমি বমি ভাব তৈরি হতে পারে। আমরা যতটুকু জানি এর পাশাপাশি এখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে রোগীর মাথা ব্যথা শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে। সবসময় ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় এই ওষুধ আপনাকে খেতে হবে আজেবাজে ভাবে ওষুধ খাওয়া যাবেনা। এসিআই লিমিটেড এর Febus 40 ট্যাবলেট প্রতিপীচের বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ১২.০৪ টাকা।