গর্ভবতী মায়ের কি কি খাবার খাওয়া উচিত না

গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন সেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। কারণ একজন গর্ভবতী মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে থাকেন তাহলে সে অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি তার গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটিও অসুস্থ হবে সুস্থ স্বাভাবিক হবে না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে একজন গর্ভবতী মাকে।

তবে এই পুষ্টিকর খাবারের মধ্যেও কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মা সব কিছু খাওয়ার আগে তাকে জেনে নিতে হবে কোন খাবারটি তার স্বাস্থ্যের এবং গর্ভের সন্তানের জন্য ভালো এবং কোন খাবারটি তার গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে।

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতীর মায়ের কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাই আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে আলোচনা করতে এসেছে একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয় সে খাবার গুলো সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক

চা /কফি

একজন গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফে ইন গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়। এতে করে গর্ভের সন্তানের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মা কতটুকু ক্যাফিন গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।

তবুও কিছু চিকিৎসক বলেন একজন গর্ভবতী মা প্রত্যেকদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন গ্রহণ করতে পারবেন ক্যাফিন যে কারণে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা গর্ভবতী পায়েলের খেতে মানা করেছেন তার কারণ হলো ক্যাফিন সরাসরি মায়ের ক্লাসেন্ট তাতে গিয়ে বেবির হৃদপিণ্ডে ভূমিকা রাখে। তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

পনির বা চিজ

মেয়েরা বিশেষ করে বাইরের খাবার গুলো একটু বেশি খেতে পছন্দ করেন। কারণ মেয়েরা তো সব সময় বাড়িতেই থাকে আর হঠাৎ করে যদি বাইরের কোন খাবার খাওয়া যায় তাহলে অবশ্য ভালই লাগে। বিশেষ করে বার্গার খেতে প্রায় সবাই পছন্দ করে। তবে একজন গর্ভবতী মায়ের বার্গার খাওয়া একটু হলেও ক্ষতিকর রয়েছে কারণ এই বার্গার রয়েছে  চিজ যেটি গর্ভবতী মায়ের জন্য বিপদজনক।

গর্ভাবস্থায় যেহেতু মায়েদের একটু বেশি খাওয়া-দাওয়া করতে হয় তাই অনেক সময় মাইরা বার্গার খাওয়া শুরু করে দেয় সমস্যাটা হয়ে যায় এখানে যখন তারা চিজ বা পনির দিয়ে বার্গার খেতে যান। চিজ গর্ভাবস্থায় খুবই বিপদজনক একটি খাবার তাই মায়েদেরকে এই চিজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কলিজা

কলিজা বা কলিজা দিয়ে তৈরি খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খুবই বিপজ্জনক। এই সময়ে আপনার জন্য ঠিক কতটুকু ভিটামিন গ্রহণযোগ্য সেটা একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে তারপরে খেতে হবে।

অনেকে এই সবে অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়া শুরু করে কারণ তাদের ধারণা বেশি ভিটামিনযুক্ত খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চার জন্য খুব ভালো তবে এটা একেবারে ভুল একটি ধারণা। কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না এটা অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

অপান্তরিত দুধ

অপান্তরিত দুধ শব্দটি শুনে হয়তো অনেকেই বুঝতে অসুবিধা হবে যে এটি আবার কি? অপান্তরিত দূত বলতে আসলে কাঁচা দুধকে বোঝানো হয়েছে। অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন যারা কাচা গরম দুধ অনেক পছন্দ করেন তবে গর্ভাবস্থার এই সময়ে কাঁচা দুধ খাওয়া একেবারেই বিপজ্জনক।

এ অপান্তরিত দুধ আপনার বাচ্চার জন্য এমনকি আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কোনভাবে কাচা দুধ একজন গর্ভবতী মায়ের খাওয়া যাবেনা। দুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে তারপর খেতে হবে যাতে করে দুধের ভেতর থাকা জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।