এমিস্টার টপ এর কাজ কি, এমিমস্টার টপ এর সঠিক প্রয়োগ বিধি Amistar top

বাংলাদেশে শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকদের পাশে সব সময় সিনজেনটা কোম্পানি থাকে। মূলত এই কোম্পানির যে কীটনাশক গুলো পাওয়া যায় বা যে ঔষধ গুলো পাওয়া যায় সেগুলো সব থেকে ভালো এবং কৃষকেরা অত্যন্ত ভরসার সঙ্গে এই কোম্পানির ঔষধ গুলো ব্যবহার করে। আজকে আমরা এই এমিস্টার টপ ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব এবং এমিস্টার টপ ওষুধটি মূলত কি কাজে আসে এবং কৃষকেরা কেন এই ঔষধ ব্যবহার করবে সে সম্পর্কে জানব।

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ এবং সেই কৃষি প্রধান দেশে যদি আপনি সঠিকভাবে শস্য ফলাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যত্ন নিতে হবে আপনার শস্যের। আপনি যদি আপনার সোরসের সঠিকভাবে যত্ন নিতে না পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনাকে আশানুরূপ ফল দেবে না। তাহলে চলুন এই ঔষধ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি এবং সরাসরি সিনজেনটা কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা এই তথ্য গ্রহণ করব।

এমিস্টার টপ এর মূল কাজ কি

ইতিমধ্যেই আমরা অবগত হতে পেরেছি যে এমিস্টার টপ হচ্ছে সিনজেনটা কোম্পানির একটি পণ্য। এখানে আমস্টার টপ ৩২৫ এসি নিয়ে আজকে আমরা কথা বলব। এখানে কি কি উপাদান রয়েছে এবং এই উপাদান গুলো কিভাবে আপনার সরষে সরাসরি ছত্রাক বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে সেটা জানব। মূলত এই ওষুধটি সরাসরি সত্রাক বিনাস রোদে আপনাকে সাহায্য করবে সেটা আমরা সকলে জানি।

কৃষকের স্বপ্ন হচ্ছে ক্ষেত ভরা শস্য এবং সেই শস্য যত ভালো হয় কৃষকের স্বপ্ন ততটাই সফল হয়। যারা মাটির মানুষ যারা মাটি থেকে শস্য ফলায় তাদেরকে আমরা যদি সম্মান না করতে পারি তাহলে মূলত আমরা আমাদের নিজেকে অসম্মান করলাম। তারা যতটা কষ্ট করে শস্য পলায় অবশ্যই আমাদের উচিত তাদের পাশে থাকা এবং তাদের অত্যাধুনিক কৃষি সম্পর্কে জানানো যাতে করে তারা আগের থেকে আরো সহজে ভালো শস্য ফলাতে পারে।মূলত অ্য্যামস্টার টপ এই ওষুধটিতে সিনজেনটা কোম্পানি ব্যবহার করেছে অ্যজোস্কিস্ট্রোবিন এবং ডাইসেলোকোনাজল । এই দুইটি ঔষধ মিলে অবশ্যই সর্ষের উপকার করবে।

আমরা যদি ধানের প্রসঙ্গে আসি তাহলে ধান এর খোলাপোড়া ও ব্লাস্ট রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। ধান আমাদের প্রধান শস্য তাই এই ধানকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সিনজেনটা কোম্পানির সব সময় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫০০ মিলিলিটার ঔষধ আপনি ব্যবহার করতে পারেন ধানের খোলাপোড়া ও ব্লাস্ট রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

এছাড়াও আলুর ক্ষেত্রেও এই একই জিনিস প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং সিনজেনটা কোম্পানির এমিস্টার টপ এই ওষুধটি আলুর নাবি ধ্বংস এবং স্ট্যামক্যাঙ্কার এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। এই ওষুধটি মূলত ১.০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার জমির পরিমাণ এর ওপর নির্ভর করে ।

বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে চা হচ্ছে একটি বড় ফসল। বাংলাদেশ থেকে যে ফসলগুলো বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয় সেই তালিকায় সবথেকে উপরে এবং সবার আগে অবস্থান করছে চা। সহজে হয় এমন নয় চায়ের জন্য আপনাকে প্রচুর কষ্ট করতে হবে এবং চা গাছের প্রচুর যত্ন নিতে হবে। চা গাছের স্ট্যামক্যাঙ্কার নামক অসুখ হলে আপনি এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন ৭৫০ মিলি প্রতি হেক্টরে। অবশ্যই আপনি এখান থেকে ভালো ফলাফল পাবেন।

এর বাইরে যদি জানার কিছু থাকে তাহলে আপনারা www.syngenta.com.bd এই অফিসার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। আর আপনাদের যদি এর বাইরে জানার কিছু থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে। আর সব সময় কৃষকদের সম্মান করতে শিখুন তার কারণ হচ্ছে তারাই হচ্ছে আমাদের আদিপুরুষ।