ইনটিমেট ১০ এর কাজ কি Intimate 10 mg

সাধারণত আজকে আমরা যে ট্যাবলেটটি নিয়ে কথা বলতে চলেছি সেটা হচ্ছে e^2 ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর একটি ঔষধ। বেশ কিছু ঔষধ আছে যেগুলো আমাদের কাছে খুব ভালোভাবেই পরিচিত কিন্তু এর পাশাপাশি বেশ কিছু ঔষধ আছে যেগুলো আমাদের কাছে একেবারে অপরিচিত। সাধারণত কমন কিছু অসুখ আমাদের শরীরে নিয়মিত আঘাত হানে কিন্তু এমন কিছু বড় বড় অসুখ আছে যেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়।

ইন্টিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এ ব্যবহার করা হয়েছে টাডানাফিল ১০ মিলিগ্রাম। আজকে আমরা সেই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব এবং ডাক্তার কোন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কতটুকু এই ঔষধের নির্দেশ করতে পারে সেটা জানব। এছাড়াও যে জিনিসটা আমরা সবথেকে বেশি ভুল করি সেটা হচ্ছে ওষুধ খাওয়ার পরিমাণ সেটা সম্পর্কেও আমরা আপনাদের ভালো একটি ধারণা দিতে চলেছি।

ইনটিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা

সাধারণত যে সকল উপসর্গ থাকলে আপনি এই ওষুধ খেতে পারবেন অথবা আপনার উপস্থিত ডাক্তার এই ঔষধ নির্দেশ করতে পারবে সেই উপসর্গগুলো সম্পর্কে জানব। ইরেক্টাল ডিসফাংশন একটি উপসর্গ যেটা যদি আপনার শরীরে ডাক্তার সাহেব উপস্থিত বলে মনে করে তাহলে অবশ্যই ইন্টিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট আপনাকে সাজেস্ট করতে পারে।

এই পাশাপাশি যাদের শরীরে বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া এর উপসর্গ ডাক্তার অনুভব করতে পারে তাহলে তিনি তাকে ইনটিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রেসক্রাইব করতে পারেন। এ ছাড়াও এদেরটাইল ডিসফাংশন এবং ওপরের উপসর্গ যদি উভায়ে একত্রে ডাক্তার আপনার শরীরে আছে বলে মনে করে তাহলে অবশ্যই তিনি আপনাকে এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করবেন। এখন কথা হচ্ছে এই ঔষধ কতটুকু খেলে আপনি সুস্থ হতে পারবেন সেটা আর সেটাই আমরা নিজে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

ইনটিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর খাওয়ার পরিমাপ

আমরা সকলে অবগত আছি যে স্কয়ার ফার্মাসিটি কাজ লিমিটেড অত্যন্ত ভালো মানের ঔষধ প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠান। তারাই মূলত বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে ইনটিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বাজারজাতকরণ করছে যেখানে তারা খুব সুন্দরভাবে উল্লেখ করে দিয়েছে এই ওষুধটি খাবার সঠিক মাত্রা। আমরা এখানে সঠিক মাত্রা আপনাদের সামনে তুলে ধরব তবে এর বাইরে প্রত্যেকটি ডোজ নির্ধারণ করে দিতে পারবে আপনার উপস্থিত ডাক্তার তাই অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া এর উপসর্গ যদি কোন রোগের শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন ডাক্তার এবং এই ক্ষেত্রে তার ডোজ থাকবে সর্বোচ্চ 5 মিলিগ্রাম প্রতিদিন একই সময়ে। তাই সবসময় আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এরেক্টাল ডিসফাংশন এর ক্ষেত্রে রোগীদের প্রারম্ভিক মাত্রা ১০ মিলিগ্রাম থেকে শুরু। আমি আগেও বলেছি সাধারণত এই রোগের উপসর্গ যদি আপনার শরীরে ডাক্তার পান তাহলে আপনাকে এই ঔষধ খেতে বলবে এবং তার নির্ধারিত প্রারম্ভিক ডোজ হচ্ছে ১০ মিলিগ্রাম। এই মাত্রা পরিবর্তন করে দুই গুণ করা যেতে পারে তবে এখানে সেটা নির্ভর করছে রোগীর শরীরের ওপর এবং শরীর কেমন আছে সেটা উপস্থিত ডাক্তার সব থেকে ভালো বুঝবে। কমানো যেতে পারে সর্বোচ্চ 5 মিলিগ্রাম পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত ডাক্তারের হাতে রয়েছে।

ইন্টিমেট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রি

এই ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, ক্ষুধামান্দা, কোমর ব্যথা, পেশীর ব্যথা, নাকের সর্দি-চনিত প্রদাহ, নাক বন্ধ ইত্যাদি। এছাড়াও অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে হঠাৎ দৃষ্টি শক্তি লোপ পাওয়া, শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়া এই ধরনের বড় বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যেকোনো সময় এলার্জিক রিএকশন হতে পারে তাই সতর্কতার সঙ্গে ওষুধটি খাবেন এবং যখন এই ভাষণ প্রতীকে আপনার শরীরে বুঝতে পারবেন তখন দেরি না করে আপনার ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন ঔষধ বন্ধের জন্য।