Riboson table এর কাজ কি

সাধারণত আমি বা আপনি যখন কোন রোগে আক্রান্ত হব তখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব থাকবে সেটা বুঝতে পারা এবং দেরি না করে একজন ভালো ডাক্তারের কাছে যাওয়া। তার কারণ হচ্ছে একজন ভালো ডাক্তার খুব সহজেই আপনার রোগ বুঝতে পারবে যেটা আপনি অন্য কারো কাছে গেলে হবে না। এবং তারপরে সে তার শ্রাদ্ধ অনুযায়ী আপনাকে ঔষুধ লিখে দেবে এবং পরামর্শ দেবে কিভাবে থাকলে এ রোগ ভালো হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই আপনাকেও জ্ঞান রাখতে হবে।

যাতে সাধারণের মাঝে ঔষধ সম্পর্কে এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকে সেই লোককে সামনে রেখে মূলত আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করব এই ওয়েবসাইটে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরতে যে তথ্যগুলো আপনি আপনার জীবনে এপ্লাই করতে পারেন এবং যা থেকে আপনি সরাসরি উপকার পাবেন। আজকে আমরা রিবোসন ৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব আশা করছি এই ট্যাবলাটে অনেকের কাছে পরিচিত আবার অনেকের কাছে অপরিচিত।

Riboson table এর সঠিক কাজ কি

বার প্রথমে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই ট্যাবলেট মূলত ব্যবহার করা হয় রোগীদের দুর্বলতার কারণে। একজন রোগী শারীরিক দুর্বলতার কারনে ডাক্তারের কাছে গেছে এবং ডাক্তারেরা তার সঙ্গে কথা বলে উপলব্ধি করতে পারল যে তার শরীরে ভিটামিন বি২ এর অভাব আছে। যখনই কোন ডাক্তার ভিটামিন বি২ এর অভাব কোন রোগের শরীরে দেখতে পাবে তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে Riboson table ট্যাবলেট লিখে দিবে। তাহলে এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম সরাসরি যদি কারো শরীরে ভিটামিন বি টু এর কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারেরা সাধারণত এই ঔষধ খেতে বলবে এবং এই ওষুধ ভিটামিন বি টু এর স্বল্পতা মোকাবেলা করার জন্য কাজ করে ।

তবে আমরা সকলে জানি যে একটি ওষুধ শুধুমাত্র একটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেনা একটি ওষুধ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আমরা যদি একটু খেয়াল করি তাহলে দেখব Riboson table বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটা শুধুমাত্র যে ভিটামিন b2 এর স্বল্পতা পূরণে কাজ করে তা নয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্য তার সমস্যা দূর করতে বা বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের সমস্যা দূর করতে মূলত কাজ করে। এছাড়াও আমরা এটাও জানতে পেরেছি যে পেরিফেরাল নিউরাইটিস ছাড়া পেরিফেরাল প্যারালাইস এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

Riboson table খাওয়ার সঠিক নিয়ম

 

আপনারা যদি এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সহজ ভাষায় বলতে হয় এটা প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে অর্থাৎ পাঁচ মিলিগ্রাম করে প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে। আপনি কতদিন এই ওষুধ খাওয়াবেন সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এর উপর অর্থাৎ আপনার শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার প্রেসক্রাইব করে দিবে ঔষধ আপনাকে কতদিন খেতে হবে। তবে সর্বনিম্ন ৭ দিন এবং সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে যেটা আপনার শরীরে কোন ধরনের ক্ষতি করবে না।

 Riboson table এর দাম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি যে Riboson table এর দাম অত্যন্ত কম আপনি যদি বাজারে যান তাহলে এক পাতা Riboson table ক্রয় করতে পারবেন শুধুমাত্র তিন টাকা দিয়ে। আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা যদি বলতে হয় তাহলে এই ওষুধে রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনি যদি এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই বসে না থেকে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের ফলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা উপলব্ধি করতে পারেন তার মধ্যে বমি বমি ভাব বমি হওয়া একটি কারণ। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে শরীরে ব্যথা বা চামড়া তে চুলকানি ইত্যাদি বের হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এই ধরনের সমস্যা ছাড়া আরো অনেক অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই একটু খেয়াল রাখে আপনাকে চিন্তা ভাবনা করে ওষুধ খেতে হবে।