জিংক ট্যাবলেট এর কাজ কি

জিংক হল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এক খনিজ উপাদান এটি আমরা সবাই কমবেশি জানি। সুস্থ সুন্দর শরীর এর জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিনিয়ত জিঙ্ক এর প্রয়োজন রয়েছে। শরীর বৃত্তীয় অনেক কার্যক্রমের জন্য জিংক এর বিশেষ কিছু অবদান রয়েছে। আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আমরা আজকে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নিয়ে আসি আপনাদের প্রয়োজনে এই নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো। ঠিক তেমনি আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি ড্রিঙ্ক ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য নিয়ে।

শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধিতেও রয়েছে জিংক এর বিশেষ ভূমিকা। শরীর বৃদ্ধি ও নানান কাজে শিশুদের শারীরিকভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই জিংক। জিংক শরীরের প্রায় ৩০০ ধরনের উৎসেচক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়াও আমাদের স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতির জন্য জিংক দরকারি একটি উপাদান। এছাড়াও শিশুদের ডায়েরিয়ায় জিংক এর গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এছাড়াও যখন আমরা সর্দি-কাশিতে ভোগে থাকি তখন বেশিরভাগ সময় দেখা যায় এই সর্দি কাশি আমাদের খুব সহজে কমতে চায় না। বিশেষ করেও এক থেকে দুই সপ্তাহ তো লেগেই থাকে। এ সময় জিংক ট্যাবলেট সেবনের মাধ্যমে আমাদের সর্দি কাশি কমতে সাহায্য করে খুবই কম সময়ের মধ্যে।

তাছাড়াও বয়স্কদের হাড় ক্ষয় রোগ এর প্রতিরোধে জিংক ট্যাবলেট অনেক সাহায্য করে। শুধু তাই নয় জিঙ্ক পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় এক উপাদান। কিন্তু শরীরের জন্য এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদান শরীরে তৈরি হয় না। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত আমাদের প্রতিদিনের খাবারে জিংক এর সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।

জিংক এর উৎস

আমরা প্রতিদিন নানান ধরনের খাবার খেয়ে থাকি তবে অবশ্যই আমাদেরকে জেনে রাখা প্রয়োজন যে এই খাবার গুলোর মধ্যে কোন খাবারগুলোতে জিংক রয়েছে। জিংক যেহেতু আমাদের প্রতিদিনের খাবারে থাকা প্রয়োজন তাই এ খাবারগুলোর সাথে পরিচিত হওয়াও জরুরী। জিংকের অন্যতম উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ।

সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে তবে সামুদ্রিক মাছ আমরা সচারাচর সব সময় পাইনা এবং আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই রয়েছে যে সামুদ্রিক মাছ না পাওয়ার কারণে খেতেও পারে না। তাহলে হয়তো অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে যে সামুদ্রিক মাছ ছাড়া অন্য আর কি থেকে জিংক আমরা খাবারের মাধ্যমে পাবো? তাহলে আমরা বলব আরো নানান ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা খুব সহজেই প্রয়োজনীয় জিংক শরীরে পেতে পারি সেগুলো হলো। কাকড়া, চিংড়ি, মাছ, দুধ, দুগ্ধ জাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম ইত্যাদি।

জিংক এর ঘাটতির লক্ষণ

আমাদের শরীরে জিংকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে যখন লক্ষ্য করা যায় যে আমাদের শরীরের জিংক এর ঘাটতি রয়েছে তখন আমরা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব যে জিংক এর ঘাটতির লক্ষণগুলো সম্পর্কে। একজন মানুষ প্রতিদিনের খাবারে জিংক জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেও কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের শরীরে জিংক এর অভাব থেকে যায়।

বিশেষ করে যাদের অন্ত্রনালীর রোগ রয়েছে তাদের জিংক এর ঘাটতি শরীরে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও দুগ্ধজাত মা যে মায়ের শরীর থেকে একটি শিশু শুধু তার বুকের দুধ এর উপর নির্ভরশীল করে ছয় মাস এর বেশি সময় পর্যন্ত সে মায়েদের ও জিংক এর ঘাটতি শরীরে দেখা দিতে পারে। জিংক এর ঘাটতি শরীরে দেখা দিলে কিছু লক্ষণ অনুভব করা যায় সেগুলো হল।

স্বাদের অনুভূতি কমে যায় শরীরে জিংক এর ঘাটতির কারণে। এছাড়াও ক্ষুধা মন্দা বা অরুচি হয়ে থাকে জিংক এর কারণে। শরীরের ক্ষত সারতে দেরি হয়, ডায়রিয়া হয়, অকালেই চুল পড়ে যায়, হতাশা ভাব শরীরের মধ্যে বিরাজ করে। এসবগুলোই হলো জিংক এর ঘাটতির কারণে।