অবশ্যই আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়। আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ে বিরাজমান থাকে এবং এই সময় গুলোর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ স্বাভাবিকভাবে সেবন করা লাগতে পারে। আজকে আমরা জিস্কা ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির আয়রলিক ট্যাবলেট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আপনারা যারা এই ট্যাবলেটের খুঁটিনাটি সফল তথ্য জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন আশা করছি।
মূলত জিসকা ফার্মাসিটিকাজ কোম্পানি এই ওষুধটি বাজারজাতকরণ করেছে এবং এই ঔষধ এর গ্রুপের নাম হচ্ছে ফেরোয়াস ফুমারেট এবং ফলিক অ্যাসিড। এই দুইটি ওষুধ এর কম্বিনেশনে একটি ঔষধ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২০০ মিলিগ্রাম করে প্রত্যেকটি উপাদান দেওয়া হয়েছে। আপনি কেন এই ওষুধটি খাবেন এবং এই ওষুধটি আপনার কি কাজে আসবে এবং বর্তমান বাজারে ওষুধের মূল্য কত টাকা সে সম্পর্কে জানতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল আপনাকে পড়তে হবে। তাই আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
আইরোলিক ট্যাবলেট কেন খাবেন
মূলত প্রত্যেকটি ঔষধ প্রত্যেকে অসুখের জন্য ব্যবহার করা হয়। এখন অনেকে যদি প্রশ্ন করে ডাক্তার সাহেব আমাকে আইরোলিক ঔষধ খেতে বলেছে এবং কেন সেটা খেতে বলেছে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে বলব অবশ্যই আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। এই ট্যাবলেটটি মূলত গর্ভবতীদের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয় যেখানে মা এবং তার গর্ভে থাকা সন্তানদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী।
মূলত আয়রনের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণের জন্য এখানে আপনাকে আইরোলিক নামক এই ট্যাবলেটটি দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ডাক্তার যখন পরীক্ষা-নিক্ষার মাধ্যমে অবগত হতে পারে যে সেই মানুষের শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে এবং এটা অতিমাত্রায় আপনাকে সমস্যা করতে পারে তখন তাকে আইরোলিক ট্যাবলেট দেওয়া হয়। আবার শুধু এমন নয় যে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য এই ট্যাবলেট আপনাকে দেওয়া হচ্ছে এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো এই ওষুধ আপনাকে করতে পারে। যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদা মন্দার সৃষ্টি হয় তাদের স্বাভাবিকভাবেই এই আইরোলিক ট্যাবলেট দেওয়া হয়ে থাকে।
আইরোলিক ট্যাবলেট এর মাত্রা ও সেবন বিধি
প্রত্যেকটি ঔষধে রয়েছে মাত্রা বিধি তাই আপনি এর অতিরিক্ত ওষুধ কোনভাবেই খাবেন না এবং এর জন্য সবথেকে ভালো জায়গা হচ্ছে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যাওয়া। যদি এমন পরিস্থিতি থাকে আপনি সরাসরি ডাক্তারের কাছে এই মুহূর্তে যেতে পারছেন না তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করবো। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি এই ওষুধটি কতটুকু হারে আপনি খেতে পারেন।
যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে বিশেষ করে মহিলা তাদের গর্ভবতী অবস্থায় এই ওষুধটি প্রতিদিন একটি করে খেতে বলা হয়। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাতের আহারের পরে এই ওষুধটি আপনাকে খেতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে ছেলেদের রক্তশূন্যতা এবং দুর্বলতার কারণেও এই ওষুধটি দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন একটি অথবা দুইটি করে ওষুধ খেতে বলতে হতে পারে তবে এটা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনি খেতে পারেন না। এছাড়া সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত এই ওষুধ আপনি কন্টিনিউ করতে পারেন যেটা আপনার পক্ষে ভালো।
আইরোলিক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মূলত এই ওষুধটি যদি অতিমাত্রায় আপনি সেবন করে ফেলেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রধান এবং প্রথম সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এমনিতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আমাদের জাতীয় সমস্যা হয়ে গেছে তারপরে যদি এই ওষুধটি অতিমাত্রায় আপনি সেবন করেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতেই পারে। তাই চেষ্টা করবেন প্রথম থেকেই ওষুধ যখন খাওয়া শুরু করবেন তখন দিনে দুই বেলা অন্তত গ্যাসের ক্যাপসুল খেতে। এছাড়াও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে পেটে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া হতে পারে এবং ডায়রিয়ারও সৃষ্টি হতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকুন।