প্রোস্টেট কেন বড় হয়

সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। যারা প্রশ্নের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মধ্যে সকলেই বয়স্ক মানুষ। আমরা একটি উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের পোস্টের বড় হওয়ার কারণ জান্নাতে চলেছে আশা করব উদাহরণটি আপনাদের কাছে পছন্দ হবে। বেলুন আমরা সকলেই চিনি এই বেলুন ছোটবেলাতে আমরা কেনার জন্য অনেক জেদ করতাম বিশেষ করে গ্রামের মেলাতে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের কাছে এই বেলুন অত্যন্ত প্রিয় একটি বেল।

সাধারণত বেলুনের মধ্যে বাতাস থাকে তবে এই বেলুনে যদি আপনি পানি ভর্তি করেন এবং সেটা কোথাও ঝুলিয়ে রাখেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এটা ঝুলিয়ে রাখেন তাহলে বেগুনের অবস্থা কেমন হবে। অবশ্যই আস্তে আস্তে বেলুনটা নিচের দিকে ঝুলতে শুরু করবে এবং এমন একটি সময় আসবে বেলুনের শক্তি ফুরিয়ে যাবে এবং ধারণক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে।

মানুষের প্রোস্টেট ঠিক একই ধরনের সমস্যায় পড়ে। সারা জীবন ধরে প্রস্রাব ধরে রাখতে রাখতে প্রস্রাবের চাপের কারণে তার যে প্রাচীর গুলো রয়েছে সে প্রাচীনগুলো একটু শক্তি হারা হয়ে পড়ে। যার কারণে প্রোস্টেটের যে স্বাভাবিক আকৃতি সেই আকৃতি নষ্ট হয়ে যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রোস্টেট বড় হয়ে যায় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রোস্টেটের গায়ে গর্তের মতো তৈরি হয়।

এই ধরনের সমস্যার কারণে প্রোস্টেট বড় হতে পারে। তবে এখানে এটা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে যদি কারো প্রোস্টেটের সমস্যা দেখা যায় তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা। আমি এমন বয়স্ক রূপে অনেককেই দেখেছি যারা পোস্ট এর চিকিৎসা সঠিক সময়ে করিয়ে শুধুমাত্র ঔষধের মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। ঔষধের মাধ্যমে যদি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অপারেশন করাতে হবে তবে অবশ্যই সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

প্রোস্টেটের সমস্যার লক্ষণ

প্রস্ট্রেটের সমস্যা হয়েছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে সেটা বুঝতে পারে। প্রোস্টেটের যে স্বাভাবিক কার্যকলাপ সেটা যদি ব্যাহত হয় তাহলেই বোঝা যায় প্রোস্টেটের সমস্যা হয়েছে। প্রোস্টেটের সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে প্রস্রাবের চাপ। সব সময় মনে হচ্ছে যেন প্রস্রাবের চাপ হয়ে আছে কিন্তু আপনি যখন প্রস্রাব করতে বসবেন তখন চাপ অনুযায়ী প্রস্রাব হবে না একেবারে অল্প প্রস্রাব হবে এবং সেটা একবারে হবে না এবং প্রস্রাবের গতি একবারেই থাকবে না। প্রস্রাব করতে গিয়ে প্রচন্ড জ্বলবে এবং জলার পরে আস্তে আস্তে প্রস্রাব বের হবে এবং ফোটায় ফোটায় প্রস্রাব করবে।

বয়স কম থাকা অবস্থায় প্রস্রাবের যে স্বাভাবিক গতি থাকে সেটা সে সময় থাকবে না। অনেকের ক্ষেত্রে এই প্রস্রাবের ইনফেকশন তৈরি হতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্তাব দিয়ে রক্ত বের হতে পারে এই প্রোস্টেট সমস্যার কারণে। এই সমস্যার জন্য অনেক সময় অনেক রোগী বিরক্ত হয়ে যায় তার কারণ হচ্ছে প্রস্রাব যদি একবারে না হয় তাহলে সেটা অনেক বিরক্তিকর এবং আস্তে আস্তে পড়ার কারণে অনেক সময় এরকম হয় রোগী প্রস্রাব ফিরে উঠে যাওয়ার পরেও সেটা বের হতে থাকে যার কারণে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

প্রোস্টেট ক্যান্সার কেন হয়

প্রোস্টেটের যদি টিউমার হয় তাহলে সেই টিউমারের সঠিক চিকিৎসা সঠিক সময় না করতে পারলে সেটা ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়। আমরা সকলে অবগত আছি যে প্রোস্টেটের ক্যান্সার হতে পারে। ক্যান্সার হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে প্রোস্টেট টিউমার হওয়া। যদি কারো প্রোস্টেট টিউমার ধরা পড়ে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করাতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই টিউমারের মাধ্যমে ক্যান্সার হতে পারে এবং এই টিউমার এই ক্যান্সারের ভাইরাস থাকতে পারে।

প্রোস্টেটের চিকিৎসা

প্রোস্টেট চিকিৎসা কয়েক ধারণা আছে একটা হচ্ছে সাধারণ ঔষধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান। তবে যদি সাধারণ ঔষধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা। অপারেশন যদি সঠিক হয় তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পুরোপুরি সমস্যা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।